কবিতা
বারুদ আগুন শপথের রঙ
ধীমান সরকার
মুক্তধারা
সব চাপা যন্ত্রণাকে আগুন করে রেখো-
রক্তাক্ত বহ্নিশিখা নিভে না যায় কখোনো,
বিলীন না হয় কোটি আলোক বর্ষ পরে,
বারুদ-বিষ্ফোরক হয়ে থেকো।
পুঞ্জিভূত ঘৃণাকে, পাঠাও তুষের ভান্ডে
যুগান্তে বিবর্তিত হোক বারুদ -প্রচন্ডে,
ঝঙ্কার তোলো পরশুরামের কুঠারে,
আপত: ক্রান্তি-কালীন দৌর্দন্ডে।
পট পরিবর্তণের পরে, সে অঙ্কপাত
রচনা করো যুগশেষের ধারাপাত,
নেই যা, তা ছুড়ে দাও অনন্তের জঠরে,
কলতানে উদয়ের উল্কাপাত।
চাপ-চাপ রক্তে লেখো ভাঙা স্বপ্নের কথা-
পাজরে লিখে দাও, যুদ্ধ শেষের কবিতা,
সৃষ্টি-উল্লাসে, গগন বিদীর্ণ অঙ্গিকারে,
আসন্ন সংগ্রামের বীরগাথা।
পৌঁছাবে নয়া গন্তব্যের নয়া ঠিকানায়
ক্লান্তিহীণ অবকাশে সূর্য আকাঙ্খায়,
স্পন্দিত লোহিত হিন্দোল হৃদয় গহ্বরে,
আগুয়ান জাগরণে বর্ণময়।
সশব্দ পদচারণা, দর্শন গন্ধ নেওয়া,
প্রতষ্ঠিত হবে অধিকারে কথা কওয়া
হিসেব চুকিয়ে, মিটুক ঋণ রোদ-ভোরে
রণ'পায়ে দাঁড়িয়ে কথা দেওয়া।
পাথর কাঁপাবে'ই জীবনের কোলাহলে,
আকাশে তাকিয়েই, আগামীর কৌতুহলে,
ভীরুতা হটিয়ে, আসুক নিপাট শান্তি নিরে,
ফেরাবোই সব, রুদ্র অঙ্কমিলে।
Comments :0