আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসক ছাত্রী ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় প্রতিবাদী মুখ জুনিয়ার ডাক্তার আসফাকুল্লা নাইয়া বাড়িতে গেলো বিধাননগর থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে কাকদ্বীপে তাঁর বাড়িতে যান ৩০ থেকে ৪০ জন পুলিশ আধিকারিক। তাঁর বাড়িতে প্রায় কয়েক ঘন্টা তল্লাশি করা হয়। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে সিনিয়র ডাক্তারদের যৌথ মঞ্চ ‘জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস’।
জয়েন্ট প্লাটফর্ম অফ ডক্টর্স ওয়েস্ট বেঙ্গলের তরফে প্রেস বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়, "জুনিয়র ডাক্তার আসফাকুল্লা নাইয়ার বিরুদ্ধে ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিকেল কাউন্সিল কিছু ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। আমরা এই পুলিশি অত্যাচারের তীব্র নিন্দা করছি। মেডিক্যাল কাউন্সিলের কিছু জানার থাকলে তাঁকে চিঠি দিয়ে জানাতে পারত।"
জয়েন্ট প্লাটফর্ম অফ ডক্টর্স ওয়েস্ট বেঙ্গলের তরফে প্রশ্ন তোলা হয় কী ভাবে মেডিকেল কাউন্সিল কারোর বাড়িতে পুলিশ পাঠায়? সিনিয়র চিকিৎসকরা জানিয়েছেন প্রতিবাদীদের কণ্ঠ রোধ করার জন্যই মেডিক্যাল কাউন্সিল প্রতিহিংসামূলক আচরণ করেছে।
তাঁর বাড়িতে তল্লাশি করে বেশ কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সিজার লিস্ট তাঁর দাদা অলিউল্লাহ নাইয়াকে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি পুলিশ আধিকারিকদের।
বৃহস্পতিবারই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে প্রসূতিমৃত্যুর ঘটনার দায় চিকিৎসকদেরই ওপর চাপিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। ১২ জন চিকিৎসককে সাসপেন্ড করেছেন তিনি। অথচ, বিষাক্ত স্যালাইন কিভাবে সরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে সরবরাহ করা হলো, কারা দায়ী তা নিয়ে নীরব প্রশাসন।
Comments :0