Pous Mela

‘বিকল্প’ পৌষমেলার স্টল বন্টন নিয়ে ক্ষোভের আঁচ

রাজ্য

ক্যাপশন: ‘বিকল্প’ পৌষমেলার স্টল বুকিং নিয়ে ব্যবসায়ীদের ক্ষোভ প্রকাশ মেলার অফিসের সামনে।

শুরু পাঁচ দিন আগেই মেলার মাঠে ক্ষোভের আঁচ। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে হতে চলা ‘বিকল্প’ পৌষমেলায় স্টল বন্টন নিয়ে বিস্তর অসন্তোষ দূরদূরান্ত থেকে মেলায় দোকান করতে আসা ছোট মাঝারি ব্যবসায়ীদের। অসন্তোষের নেপথ্যে রয়েছে স্টল বন্টন ও বুকিং নিয়ে বিস্তর অসঙ্গতিই। সেই ক্ষোভের আঁচে তপ্ত হয়ে শান্তিনিকেতনের পূর্বপল্লীর মাঠ। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশকে খেতে হয়েছে হিমশিম। প্রথমত স্টল বুকিংয়ের বিনিময়ে জিএসটি নম্বর ছাড়া নেওয়া হচ্ছে কেন্দ্র ও রাজ্যের জিএসটি। দ্বিতীয়ত, বুকিংয়ের টাকা সরকারি কোষাগারের কোন খাতে জমা পড়ছে জানা নেই কারো। তৃতীয়ত, স্টল বন্টনে দালাল চক্রের রমরমার অভিযোগ উঠেছে জোরালো ভাবে। 
যেমন স্বপন মোদক এসেছেন মেলায় দোকান করবেন বলে। সকাল থেকে সন্ধ্যা, সন্ধ্যা থেকে রাত পেরিয়ে ফের সকাল হলেও তারজন্য বরাদ্দ হয় নি কোন স্টল। এই ব্যবসায়ী বেশকয়েকজন দলবেধে এসেছেন মেলা করতে। তাদের অভিযোগ, ‘‘দালালরা পাঁচশো ফুট, হাজার ফুট জায়গা নিয়ে তা চড়া দামে বিক্রি করছেন।’’  এ নিয়ে এদিন একজোট হয়ে এই সকল ব্যবসায়ীরা চূড়ান্ত ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মেলার মাঠে। আবার ব্যবসায়ী হাসমত সেক, সুপ্রিয় দত্তরা জানিয়েছেন, ‘‘আমরা কেউ চার হাজার তো কেউ চব্বিশ হাজার টাকা দিয়ে স্টল বুকিং করেছি। আমাদের স্লিপে জিএসটি’র জন্য কেটে নেওয়া অঙ্কের উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু স্লিপে কোনও জিএসটি নম্বর নেই। ’’ স্টল বন্টন নিয়ে এমন নানা অসঙ্গতি এখন মেলার মাঠ জুড়ে। বোলপুর-শ্রীনিকেতন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা মেলার স্টল বন্টন কমিটির আহ্বায়ক কাজি মহম্মদ হানিফের বক্তব্য, ‘‘জিএসটি নম্বর নেই কেন বলতে পারব না। দেখছি বিষয়টা। পরে হয় তো নম্বর দেবে। আর টাকা কোন খাতে টাকা যাচ্ছে মহকুমা শাসক বলতে পারবে।’’  যদিও প্রশাসনের কেউ কোনও মন্তব্য করতে চান নি। 
২০১৯ সালে শেষবার শান্তিনিকেতনের পূর্বপল্লীর মাঠে হয়েছিল ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা। তারপর থেকে আর হয়নি মেলা। তবে বোলপুর ডাকবাংলো মাঠে ২০২১ ও ২২ সালে ‘বিকল্প’ পৌষমেলা করেছিল রাজ্য সরকার। তাতেও স্টল বন্টন নিয়ে এমনই গড়মিলের বহু অভিযোগ উঠেছিল। এবছরও বিশ্বভারতী ও শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা না করার ঘোষণার পর ফের জেলা প্রশাসন মেলা করার পরিকল্পনা নিয়ে। নানা টানাপোড়েন শেষে বিশ্বভারতীর সম্মতিতে মেলার স্থান ঠিক হয়েছে পূর্বপল্লীর মাঠে অর্থ্যাৎ যেখানে হয়ে এসেছে ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা। সেই মেলার রাশ অবশ্যই নিয়েছে তৃণমূলের নেতা, কর্মীরা। তারাই হর্তাকর্তা হয়ে উঠেছে মেলার। শুরু হয়ে গিয়েছে মেলার স্টলের জন্য প্লট বুকিং। আর এই প্লট বুকিং নিয়ে দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। 

Comments :0

Login to leave a comment