RSS CASTE CENSUS

জাতভিত্তিক জনগণনায় আপত্তি, হুঁশিয়ারি আরএসএস’র

জাতীয়

ছবি সংগ্রহ থেকে।

জাতভিত্তিক সমীক্ষায় ফের কড়া আপত্তি জানালো আরএসএস। বিজেপি’র আদর্শগত কেন্দ্র রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ বা আরএসএস বলেছে, ‘‘সংখ্যা জানার জন্য জাতভিত্তিক সমীক্ষা হতে পারে। তবে তার লক্ষ্য হবে কেবল জনকল্যাণ। রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা চলবে না।’’
সংশ্লিষ্ট অংশের বক্তব্য, নতুন সংখ্যার নিরিখে সংরক্ষণের মাপকাঠি বদলের দাবিকে ‘রাজনৈতিক হাতিয়ার’ বলতে চেয়ে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহদের ভিত্তি সংগঠন।
কেরালার পালাক্কাডে তিন দিনের ‘সমন্বয় বৈঠক’ করছে আরএসএস। সোমবার বৈঠকের পর সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলেছেন মুখপাত্র সুনীল অম্বেকর। তিনি বলেছেন, ‘‘আমরা সীমারেখা টানতে চাই। জাতভিত্তিক সমীক্ষাকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা চলবে না।’’ মুখ্যত বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ মঞ্চকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘‘জাতভিত্তিক সমীক্ষা গভীরভাবে বিবেচনার বিষয়। নির্বাচনী প্রচারের বিষয় নয়।’’ 
লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই নতুন জাতভিত্তিক সমীক্ষার দাবি তোলে ‘ইন্ডিয়া’। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী এবং জেডি(ইউ) নেতা নীতীশ কুমার, সে সময়ে, ‘ইন্ডিয়া’-তে। উপমুখ্যমন্ত্রী আরজেডি’র তেজস্বী যাদব। সেই সরকার বিহারে জাতভিত্তিক সমীক্ষা করে জানায় যে বিহারে পিছিয়ে থাকা অংশ ৮০ শতাংশের বেশি। সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী যদিও ৫০ শতাংশের বেশি সংরক্ষণ চালু করা যায় না সরকারি কাজ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। নীতীশ নির্বাচনের আগেই যদিও দিক বদলে বিজেপি’র সঙ্গে জোট করে সরকার চালাচ্ছেন রাজ্যে।
অম্বেকর এদিন নির্বাচনী প্রচারের বিষয় না বললেও কেন্দ্রে আসীন বিজেপি নিজেদের বা সঙ্ঘের মত চাপিয়ে দেওয়ার জায়গায় নেই। একক গরিষ্ঠতা না থাকায় বিজেপি-কে নির্ভর করতে হচ্ছে নীতীশ কুমারের ওপর। আবার নীতীশ কুমারের পক্ষে জাতীয় স্তরে জাত ভিত্তিক সমীক্ষার দাবি অস্বীকার করা সম্ভব হচ্ছে না। এনডিএ শরিক চিরাগ পাশোয়ান বা অজিত পাওয়ারও এই দাবিকে সমর্থন করছেন। 
জুলাইয়ে সংসদের অধিবেশনে বিজেপি জাতভিত্তিক সমীক্ষার জন্য বিরোধীদের খোলাখুলি আক্রমণে নামে। বিজেপি’র অনুরাগ ঠাকুর সরাসরি রাহুল গান্ধীকে উদ্দেশ্য করে এমন মন্তব্যও করেন যে ‘যার জাতের ঠিক নেই সে চাইছে জাত সমীক্ষা’। এই মন্তব্য চতুর্দিকে নিন্দার মুখে পড়ায় পিছাতে হয় বিজেপি-কে। 
বামপন্থীরা জাত ভিত্তিক সমীক্ষার সঙ্গে জোর দিয়েছেন সাধারণ জনগণনার ওপরও। মোদী সরকারের সময়েই প্রথম এই সমীক্ষা বন্ধ হয়েছে। প্রতি দশ বছর অন্তর প্রকাশ হব জনগণনার তথ্য। ২০২১ সালেই জনগণনার ফল বেরনোর কথা থাকলেও তা করেনি বিজেপি। কবে করবে জানায়নি। 
রাহুল গান্ধীর পাশাপাশি সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অখিলেশ যাদবদের দাবি, জনসংখ্যায় কত ওবিসি, কত দলিত বা সাধারণ জাতভিত্তিক, এই হিসেব জরুরি। এই হিসেব না হলে নীতি জিভাবে নেওয়া হবে?
বিজেপি এবং আরএসএস সরাসরি বিরোধিতা করলেও বস্তুত জাতভিত্তিক জনগণনা আটকে রাখার পক্ষে, এদিনও স্পষ্ট করেছেন অম্বেকর।

Comments :0

Login to leave a comment