RAMDEV SUPREME COURT

ভুয়ো ওষুধের বিজ্ঞাপনের জন্য এবার প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে রামদেবকে

জাতীয়

রোগ নিরাময়ের ভুয়ো দাবি জানিয়ে বিজ্ঞাপন দিয়ে গিয়েছে ‘পতঞ্জলী’। এবার প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দিল সংস্থার দুই প্রধান ‘বাবা’ রামদেব এবং ‘আচার্য’ বালকৃষ্ণকে। শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট রামদেবকে বলেছে, ‘আপনি এতটাও নির্দোষ নন যে আইন ভাঙার বিষয়টি বুঝতে পারেননি।’’
এর আগে ২ এপ্রিল ক্ষমাপ্রার্থনার প্রথম হলফনামা খারিজ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। ১০ এপ্রিল ফের খারিজ করে দ্বিতীয় হলফনামা। দুই বিচারপতি হিমা কোহলি এবং অহসানউদ্দিন আমানুল্লা কড়া ভর্ৎসনা করেছেন উত্তরাখণ্ডের সরকারকেও। এ রাজ্যের বিজেপি সরকার রামদেবের ‘ওষুধ’-কে লাইসেন্স দিয়েছে। 
মঙ্গলবার আদালতে হাজির ছিলেন রামদেব এবং বালকৃষ্ণ। বিচারপতিরা বলেছেন, ‘‘দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ করেছেন আপনি। আপনি এর আগেও ক্ষতিকর কাজ করেছেন। আইন এবং আদালতের নির্দেশকে বারবার অমান্য করেছেন। আপনি এতই নির্দোষ নন যে লঙ্ঘন সম্পর্কে কিছু জানতেন না।’’
আদালতের নির্দেশের পরও পতঞ্জলীর দেওয়া বিজ্ঞাপন নিয়ে দায়ের হয়েছিল আদালত অবমাননার অভিযোগ। চিকিৎসক সংগঠন এবং বিজ্ঞানমনস্ বিভিন্ন অংশ আপত্তি জানিয়েছিল। বিজ্ঞাপনে আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞান এবং অ্যালোপ্যাথিকে অকেজো বলে প্রচার করেছিলেন রামদেব। নিজের পণ্যকে নিরাময়যোগ্য ওষুধ বলে প্রচারও চালিয়েছেন। তার কোনও প্রমাণ হাজির করতে পারেননি। 
এর আগে কেন্দ্রের আয়ূষ মন্ত্রকেরও কড়া সমালোচনা করেছে সুপ্রিম কোর্ট। আদালতে মন্ত্রক জানিয়েছিল যে বিজ্ঞাপন বিভ্রান্তিকর। কিন্তু এই ধরনের বিজ্ঞাপন রোধ করার আইন প্রয়োগ করেনি। 
এদিন রামদেব বলেন, ‘‘আমরা নিঃশর্ত ক্ষমাপ্রার্থনা করছি। বেঠিক কাজ হয়েছিল। ভবিষ্যতে তা মনে থাকবে।’’ প্রকাশ্যের বিজ্ঞাপন দিয়ে ভুল এবং বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্যও ক্ষমা চাইবে বলে জানিয়েছেন তিনি। আদালত এই প্রকাশ্যে ক্ষমাপ্রার্থনার জন্য সাত দিন সময় বেঁধে দিয়েছে।
পরের শুনানি ২৩ এপ্রিল।

Comments :0

Login to leave a comment