তপন বিশ্বাস - ইসলামপুর
ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে রোগী সহায়তা কেন্দ্র ১২ ঘন্টা খোলা থাকার কথা থাকলেও সেখান থেকে প্রয়োজনীয় পরিষেবা না পেয়ে হতাশ রোগী ও তার পরিবারের সদস্যরা। তাদের অভিযোগ, হাসপাতালে রোগী সহায়তা কেন্দ্র থাকলেও সেখানে প্রায়ই কাউকে পাওয়া যায় না। আমরা রোগীদের নানা রকম সমস্যা নিয়ে কোন রকম তথ্য জানতে তাদের রীতিমত হিমশিম খেতে হয়। রোগী সহায়তা কেন্দ্র কাউন্টারটি রীতিমত সাইকেল ও বাইক গ্যারেজে পরিণত হয়েছে। এব্যাপারে হাসপাতাল কতৃপক্ষ উদাসীন। তারা ওই বিভাগটির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাফাই , তাদের রোগী সহায়তা কেন্দ্রে সবসময়ই কর্মীরা হাজির থাকেন ও রোগী ও তাদের পরিবারকে সহায়তা দিয়ে থাকেন। অভিযোগ ঠিক নয়।
প্রায় বছর ছয়েক আগে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালের জরুরী বিভাগে ঢোকার মুখে ঘটা করে রোগী সহায়তা কেন্দ্র খোলা হয়। রোগী সহায়তা কেন্দ্রটি সকাল ৮ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত খোলা থাকার কথা। সেখান থেকে রোগীদের নানা সমস্যা ও সেগুলি সমাধানের উপায় বাতলে দেওয়ার কথা ওই রোগী সহায়তা কেন্দ্র থেকে। কিন্ত রোগী সহায়তা কেন্দ্রে সহায়কদের প্রায়ই পাওয়া যায় না। সেখানে রোগী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা সহায়তা কেন্দ্র কেন্দ্রে গিয়ে তাদের ডাকাডাকি করলে পরামর্শ তো মেলেই না বরং তাদের সাথে দূর্ব্যবহার করা হয় বলে অভিযোগ। এব্যাপারে চাকুলিয়ার শিরশি গ্রাম থেকে আসা রোগী হানিফ মহম্মদ জানান, তিনি বুকের ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে হাজির হন। তিনি কোথায় কোন চিকিৎসককে কিভাবে দেখাবেন তা জানতে রোগী সহায়তা কেন্দ্রে গেলে কাউকে না পেলে তাকে হয়রানির শিকার হতে হয়। এমনিভাবে রোগী সহায়তা কেন্দ্রে প্রচুর রোগী এলেও কোন পরিষেবা পান না বলে অভিযোগ। হাসপাতাল কতৃপক্ষ প্রায়ই কারণে অকারণে রোগী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হয়রান করে বলে প্রায়ই শুনতে পাই। এব্যাপারে উত্তর দিনাজপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক পূরণ শর্মাকে একাধিকবার ফোন করা হলে ফোন না তোলায় তার প্রতিক্রিয়া মেলে নি। গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতা বিকাশ দাসের অভিযোগ, হাসপাতালের একটি অংশ রোগীদের পরিষেবার না দিয়ে রীতিমতো মৌরসিপাট্টা চালায়। বিষয়টি একাধিকবার কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। আমরা শীঘ্রই এ বিষয়ে আন্দোলনে নামতে চলেছি।
Comments :0