Sujan Chakraborty on Shyamaprasad

শ্যামাপ্রসাদকে গ্রহণ করেননি নেতাজী: সুজন চক্রবর্তী

রাজ্য

Sujan Chakraborty

শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির মতাদর্শের বিরোধী ছিলেন সুভাষচন্দ্র বসু। নেতাজীকে ‘লহ প্রণাম’ বলা আরএসএস-কে মানায় না। 

আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত আসছেন কলকাতায়। নেতাজী জন্মবার্ষিকীতে অনুষ্ঠান করছে আরএসএস। এ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নে এমনই প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী। অন্য এক প্রশ্নে তিনি বলেন, বামপন্থীরা মানুষের সঙ্গেই আছে, থাকবে। তৃণমূল বা বিজেপি’র সার্টিফিকেট প্রয়োজন হবে না। 

১৮ জানুয়ারি কলকাতায় আসার কথা ‘সরসঙ্ঘচালক’ মোহন ভাগবতের। থাকার কথা ২৩ জানুয়ারি ‘নেতাজী লহ প্রণাম’ অনুষ্ঠানে। আরএসএস’র রাজ্য শাখা শহীদ মিনার ময়দানে ওই অনুষ্ঠান করবে বলে জানা যাচ্ছে। 

হিন্দু মহাসভার দৃষ্টিভঙ্গিতে নেতাজীর বিরোধিতা মনে করিয়ে দেন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘‘শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জিকে নেতাজী কোনোদিন গ্রহণ করেননি। আরএসএস চায় আসলে শ্যামাপ্রসাদকে নেতাজীর মাথায় বসাতে। হিন্দু হোক বা মুসলিম, কোনও সাম্প্রদায়িক রাজনীতিবিদের সংশ্রব ছিল না নেতাজীর সঙ্গে।’’ 

হিন্দু মহাসভার সভাপতি শ্যামাপ্রসাদের নেতৃত্বেই আরএসএস’র রাজনৈতিক শাখা জনসঙ্ঘ তৈরি হয়েছিল। পরে তা থেকে হয় বিজেপি। একাধিক বক্তৃতায় ব্রিটিশ বিরোধী লড়াইয়ে জনসঙ্ঘের ভূমিকার বিরোধিতা করেছেন সুভাষচন্দ্র। হিন্দু এবং মুসলিমদের স্বার্থ পরস্পরবিরোধী, উগ হিন্দুত্ববাদী এমন প্রচারকে নস্যাৎ করেছেন। আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠনের সময়েও সেই দৃষ্টিভঙ্গিতেই চলেছেন তিনি। বিজেপি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যদিও ‘নেহরু-বিরোধী’ নেতাজীকে সামনে রেখে প্রচার কৌশল সাজাতে ব্যস্ত।

 

চক্রবর্তী বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর কথা অনুযায়ীই আরএসএস’র প্রকাশ্য অনুগামী বিজেপি। আর পরোক্ষে তৃণমূল।’’ মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন সময়েই বলেছেন যে আরএসএস’র বিরোধী তিনি নন। আরএসএস ভোট লড়ে না। কিন্তু তিনি বিজেপি’র বিরোধী। আবার কখনও বলেছেন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তিনি কথা বলবেন না। সম্প্রতি বলেছেন যে তিনি কখনও সরাসরি বিজেপি করেননি। বস্তুত তৃণমূল গঠনের গোড়ার দিন থেকে বিজেপি’র সঙ্গী হওয়া, আরএসএস’র প্রশস্তির প্রসঙ্গ ধারাবাহিক প্রচার আন্দোলনে মনে করিয়ে দিচ্ছে বামপন্থী দলগুলি।

  

শনিবার নন্দীগ্রামে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্য, ‘‘সিপিএম’র সবাই খারাপ নন।’’ পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সব অংশের থেকে নিজের পক্ষে সমর্থন রয়েছে বলে দাবিও করেন তিনি। 

চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ তৃণমূল এবং বিজেপি, দু’দলই তো বলছিল লালঝান্ডা কোথাও থাকবে না। হঠাৎ সিপিআই(এম) নিয়ে এমন মাথাব্যথা কেন?’’ তিনি বলেন, ‘‘বামপন্থীরা রাজ্যে মানুষের সঙ্গেই রয়েছেন, মানুষের সঙ্গেই থাকবেন। বিজেপি বা তৃণমূলের সার্টিফিকেট লাগবে না।’’ 

চক্রবর্তীকে বলেন, ‘‘তৃণমূলের বিরোধিতা করতে গিয়ে বিজেপি’কে বামপন্থীদের প্রসঙ্গ টেনে আনতে হচ্ছে। আবার তৃণমূলকেও করতে হচ্ছে। এরা একসঙ্গেই আছে। কিন্তু ঝগড়া-ঝগড়া দেখায়।’’ 

Comments :0

Login to leave a comment