Law

নির্বাচন কমিশনারের নিয়োগে স্থাগিতাদেশ দিতে অস্বীকার সুপ্রিম কোর্টের

জাতীয়

সুপ্রিম কোর্ট বৃহস্পতিবার বলেছে যে এটি বিতর্কিত প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার্স আইন, ২০২৩ স্থগিত করতে পারে না, কারণ তাতে অচলাবস্থার সৃষ্টি হবে। বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ এই আইনের বিভিন্ন ধারার সাংবিধানিকতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দায়ের করা পিটিশনের শুনানি করার সময় আদালতের এই পর্যবেক্ষণ।
১৫ মার্চ, আদালত ২০২৩ সালের নতুন আইনের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশনারদের (ইসি) নিয়োগে স্থগিতাদেশ দিতে অস্বীকার করেছিল, যে আইনে ভারতের প্রধান বিচারপতিকে বাছাই কমিটি থেকে বাদ দেয়। ভারতের নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দুই শূন্য পদে দুই সাবেক আমলাকে নিয়োগ দেওয়া হলো। নিয়োগ কমিটির অন্য দুই সদস্য করা হয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও লোকসভার বিরোধী নেতা কংগ্রেস সদস্য অধীর চৌধুরী। পুরোনো আইন অনুযায়ী, এই কমিটিতে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী নেতা ও দেশের প্রধান বিচারপতি। নতুন আইনে প্রধান বিচারপতিকে বাদ দেওয়া হয়েছে। সেই জায়গায় আনা হয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার কোনো শীর্ষ নেতাকে।
আদালতের রায় ব্যাখ্যা করে বিচারপতি সঞ্জীব খান্না আজ বলেন, ‘‘আপনি বলতে পারেন না যে নির্বাচন কমিশন শাসন বিভাগের অঙ্গুলিহেলনে চলছে। এই পর্যায়ে, আমরা আইনটি স্থগিত রাখতে পারি না, তাহলে তা কেবল বিশৃঙ্খলা এবং অচলাবস্থার সৃষ্টি করবে। ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে, নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ হতে হবে। ‘‘সাধারণত এবং সাধারণভাবে, আমরা অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের মাধ্যমে কোনও আইন স্থগিত করি না,’’ আদালত যোগ করেছে।
কংগ্রেস নেতা জয়া ঠাকুর, অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস এবং অন্যান্যরা এই আইনের সংশোধনীর বৈধতা, বিশেষত প্রধান বিচারপতিকে সিলেকশন প্যানেল থেকে বাদ দেওয়ার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে পিটিশন দাখিল করেছিলেন।

Comments :0

Login to leave a comment