তোলা চাইতে এসে প্রতিরোধের মুখে পড়তে হলো স্থানীয় কাউন্সিলরের প্রতিনিধিকে। গড়িয়ার কাছে কলকাতার ১১০ নম্বর ওয়ার্ডে পাটুলি উপনগরী অঞ্চলের ঘটনা।
রাতে এই ঘটনায় রানা কুন্ডু নামে একজনকে পুলিশ গ্রপ্তার করেে বলে জানা গিয়েছে ।
ঘটনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে রবিবার। ‘গণশক্তি’ যদিও ভিডিও’র সত্যতা যাচাই করেনি। ভিডিও-তে দেখা গিয়েছে এক ব্যক্তি সরাসরিই টাকা চাইতে এলে স্থানীয়রা বলছেন, ‘‘এখানে টাকা নিতে দেব না।’’
টাকা চাইতে আসা ব্যক্তিকে ভিডিও-তে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘‘তুই কাউন্সিলরের সঙ্গে কথা বলবি।’’ স্থানীয় একজন জবাবে বলছেন, ‘‘আমি কেন কাউন্সিলরের সঙ্গে কথা বলব?’’ আরেকজন প্রশ্ন করছেন, ‘‘কাউন্সিলর কি বলেছেন এখানে টাকা তুলতে?’’ আরেকজন সরাসরি জিজ্ঞেস করছেন, ‘‘তোমাকে কে পাঠিয়েছে টাকাটা নিতে?’’ টাকা তুলতে আসা ব্যক্তি আবার বলছেন, ‘‘কাউন্সলিরের সঙ্গে কথা হয়েছে, বিধবাদের যে দেয়,...’’
অভিযোগ, মুরগি বিক্রেতার কাছে প্রতি সপ্তাহে আড়াই হাজার করে টাকা তোলা চাওয়া হয়। মুরগি বিক্রেতা অভিযোগ করেছেন, তিনি ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের রবীন্দ্রপল্লীর বাসিন্দা। বিগত সাত বছর ধরে বাঘাযতীন রেলব্রিজের নিচে মুরগির ব্যবসা করছেন। রাস্তায় কাজের জন্য তাঁকে, পাঁচ মাস হলো, রেললাইনের উলটোদিকে ১১০ নম্বর ওয়ার্ডের এলাকায় সরে আসতে হয়েছে। তৃণমূলের কাউন্সিলর সপ্তাহে আড়াই হাজার করে মাসে দশ হাজার টাকা চেয়েছেন। এই টাকা তোলা নিয়েই বিবাদ হয়েছে এদিন।
সিপিআই(এম) মধ্য যাদবপুর এরিয়া কমিটির সদস্য উজ্জ্বল চ্যাটার্জি জানিয়েছেন, ওই মুরগি বিক্রেতাকে জনৈক ‘রানাবাবু’ এসে বলে যায় যে কাউন্সিলর স্বরাজ কুমার মন্ডল তাঁকে ডেকেছেন। তিনি ১১০ ওয়ার্ড অফিসে যা গেলে মুরগির ব্যবসার জন্য মাসিক ২০ হাজার টাকা চাওয়া হয়। রাস্তার পাশের ব্যবসায়ীর তখন অনেক অনুরোধ করায় ঠিক হয় সপ্তাহে আড়াই হাজার করে মাসিক ১০ হাজার টাকা দিতে হবে।
চ্যাটার্জি বলেছেন, ‘‘চোর কাউন্সিলর স্বরাজ মন্ডল এভাবেই চালাচ্ছিল। আজ সকালে কিস্তির টাকা নিতে আসার সময় রেল লাইনের পাশে এলাকাবাসীদের থেকে বাধা আসে। সেই ছবিই ভিডিও-তে দেখা যাচ্ছে।’’
উজ্জ্বল চ্যাটার্জি ১১০ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলরও। তিনি বলছেন, ‘‘এই একটি ঘটনা নয়। তৃণমূলের কাউন্সলিরের নামে শ্রীরামপুর, স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের পাশের বাসস্ট্যান্ডের মতো প্রতিটি পাড়ায় তোবাজির অভিযোগ রয়েছে। এমন আগে আমরা দেখিনি।’’
স্থানীয়রা জানিয়েছে যে োই মুরগি ব্যবসায়ী এখন আতঙ্কে রয়েছেন। তাঁর জীবিকা নিয়েও চিন্তায় থাকতে হচ্ছে। চ্যাটার্জি বলেছেন, ‘‘আমরা স্থানীয় নাগরিকদের সঙ্গে নিয়ে অন্যায়ের প্রতিবাদে আছি। এমন জুলুমের ঘটনা জানতে পারলে প্রতিরোধ করছি।’’
Comments :0