DHUPGURI SUJANDA

ভরসা নেই তৃণমূলে, বিকল্প বিজেপি নয়,
ধূপগুড়িতে বামফ্রন্ট প্রার্থীকে জয়ী করার আহ্বান চক্রবর্তীর

জেলা

DHUPGURI SUJANDA রবিবার ধূপগুড়িতে সাংবাদিক সম্মেলনে সুজন চক্রবর্তী, জীবেশ সরকার, সায়নদীপ মিত্র।

ধূপগুড়ি এবং তার চারপাশে নাগরিক অধিকার বিপন্ন। কৃষক এবং তাঁর অধিকার, কৃষি, উপার্জন বিপদের মুখে। অথচ এখানেই কৃষিজীবী তো বটেই, সব অংশের খেটে খাওয়া মানুষের পক্ষে পরপর ব্যবস্থা নিয়েছিল পূর্বতন বামফ্রন্ট সরকারই। 

উপনির্বাচনে বামফ্রন্টকে সমর্থনের আহ্বান জানিয়ে এই বাস্তবতা মনে করিয়েছেন সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী। ৫ সেপ্টেম্বর উপনির্বাচন এই কেন্দ্রে। বামফ্রন্ট মনোনীত সিপিআই(এম) প্রার্থী ঈশ্বর চন্দ্র রায়কে সমর্থন জানিয়েছে কংগ্রেসও। শিক্ষক এবং জনপ্রিয় শিল্পী তিনি। থেকেছেন মানুষের লড়াইয়ে। 

১ সেপ্টেম্বর ধূপগুড়িতে কেন্দ্রীয় নির্বাচনী জনসভা। যোগ দেবেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক এবং পলিট ব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম। থাকবেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও। রবিবার ধূপগুড়িতে সাংবাদিক সম্মেলনে চক্রবর্তীর সঙ্গে ছিলেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী সদস্য জীবেশ সরকার এবং রাজ্য কমিটির সদস্য সায়নদীপ মিত্র।

চক্রবর্তী বলেন, ‘‘কৃষির বাজার তৈরি থেকে পৌরসভা গড়া, কলেজ থেকে দমকল কেন্দ্র স্থাপন সব তো বামফ্রন্টের সময়ই। তা’হলে তৃণমূল সরকার করলটা কী? মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন মহকুমা হবে ধূপগুড়ি। হাসপাতাল উন্নীত করার কথা, করা হলো না। পৌর নির্বাচন সময় পার করেও হলো না। সরকার কোনও উদ্যোগ নেয়নি আগ্রহ দেখায়নি। সরকার তৃণমূলের, পৌরসভা, জেলা পরিষদ তৃণমূলের।’’  

চক্রবর্তী বলেন, ‘‘মানুষ বুঝছেন তৃণমূল এবং বিজেপি বিপজ্জনক। তৃণমূলের বিকল্প বিজেপি যাঁরা ভাবছিলেন, তাঁরাও বুঝছেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনে মানুষ বুঝিয়েছেন তৃণমূলকে তাঁরা ভরসা করতে চাইছেন না। জবরদস্তিতে তৃণমূল চলছে। অন্যদের ভোট কমলেও বামপন্থীদের ভোট বেড়েছে এই সময়ে।’’ 

চক্রবর্তীর আহ্বান, ‘‘বামফ্রন্টের পাশে দাঁড়ান। নিজেদের অধিকার রক্ষার লড়াইয়ের জন্যই বামফ্রন্ট প্রার্থীকে সমর্থন করুন।’’

ধূপগুড়ির সর্বত্র বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে বামফ্রন্টের প্রচার। চক্রবর্তী নিজেও প্রচার মিছিলে অংশ নিয়েছেন। 

রবিবারই দত্তপুকুরে বিস্ফোরণে একাধিক প্রাণহানি হয়েছে। চক্রবর্তী বলেছেন, ‘‘এগরার পর সবে তিন মাস, তার মধ্যেই আরেক বিস্ফোরণ। তৃণমূল এবং পুলিশের মদতে হয়ে চলেছে একের পর এক বিস্ফোরণ। ৯ জনের প্রাণহানির খবর মিলেছে। যেভাবে চারপাশ উড়ে গিয়েছে ওখানে বোমার মালপত্র মজুত ছিল। বগটুই কাণ্ডের পর মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন ৭ দিনের মধ্যে বোমা, অস্ত্র উদ্ধার করবেন। প্রায় দু’বছর হতে চলল।’’ 

তৃণমূল সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জির বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্ত প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয় তাঁকে। চক্রবর্তী বলেন, ‘‘২০১৩’তে বামপন্থীরা এই দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিল। তখন তদন্ত করাননি মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য সরকার নিজে তদন্ত করছে না। সিবিআই তদন্তের সুযোগ করে দিচ্ছে।’’

Comments :0

Login to leave a comment