Teesta Excavation

নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে তিস্তায় জেসিবি দিয়ে চলছে খনন

জেলা

জেসিবি নামিয়ে তিস্তার বুকে চলছে খনন কাজ।

 গতবছর মাল পৌরসভার উদ্যোগে কৃত্রিম ঘাট নির্মাণ করে জেসিবি দিয়ে নদীর গতিধারা অন্যদিকে প্রবাহিত করে নিরঞ্জন ঘাট নির্মাণ করার ফলে বিজয়ার সন্ধ্যায় হড়পা বানে মানুষের তলিয়ে যাওয়ার পরেও নির্বিকার জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন। এখনো তিস্তায় চাষাবাদ করার প্রয়োজনে ট্রাক্টর চালানোর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। জলের বিষক্রিয়ার কারণে মরা মাছ ভেসে উঠতে দেখা যায়। তিস্তায় মৎস্যজীবীদের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞাও জারি করেছে প্রশাসন। 
জেলার প্রধান প্রশাসনিক কার্যালয় ডিএম, এসপি, এসপিও দপ্তর তিস্তা-করলা পৃথকীকরণের প্রয়োজনে নির্মিত হয় তিস্তার বাঁধের ওপরে জুবলি পার্কে। হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চের বিচারপতিদের আবাসন ঠিক তার ঢিল ছড়া দূরত্বে রয়েছে। তার ১০০ মিটারের মধ্যে তিস্তায় জিসিবি নামিয়ে প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছে ছটঘাট খননের কাজ। খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত এই এলাকায় গিয়ে দেখা গেল সকাল থেকে সেখানে চলছে জিসিপি দিয়ে নদী খনন। 
শুক্রবার সেই দৃশ্যই দেখা গেল জলপাইগুড়ি তিস্তা নদী ১ নম্বর স্পার সংলগ্ন নদী বক্ষে। প্রশাসনিক না ব্যক্তিগত উদ্যোগে এই কাজ চলছে তার সঠিক জবাবও দিতে পারেনি ওই ছট ভক্তরা। খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের এই আসনে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়ী হয়েছে বিজেপি। 
অন্যদিকে শহরের বিভিন্ন ঘাটে জেলা পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে পরিদর্শন চললেও পুলিশ সুপারের দপ্তরের ২০০ মিটারের মধ্যে কোন পুলিশি নজরদারি লক্ষ্য করা যায়নি।বিপজ্জনক ঘটনাকে রুখতে জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ছট পুজোর ঘাটগুলি পরিদর্শন করেন পুলিশ সুপার এবং আধিকারিকরা। 
জেলা পুলিশ সুপার সাংবাদিকদের বলেন, তিনি গোটা জেলা নজরদারি রয়েছে পুলিশ ও প্রশাসনের। ঘাটগুলিতে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য মোতায়েন থাকবে সিভিল ডিফেন্স কর্মীরা। জেলা প্রশাসনের নাকের ডগায় এভাবে তিস্তা নদীতে জিসিবি নামিয়ে ছটঘাট নির্মাণ করা হলেও প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় চিন্তিত পরিবেশপ্রেমীরা।

 

Comments :0

Login to leave a comment