Ali Imran Ramz (Victor)

প্রতিশ্রুতি রাখেনি তৃণমূল, ইসলামপুর চাইছে জিতুন ভিক্টর

রাজ্য জেলা লোকসভা ২০২৪

ডাঙাপাড়া ঘাটে সেতু

তপন বিশ্বাস ইসলামপুর

নদী সেতু গড়ার আশ্বাস দিয়েছিল তৃণমুল। সেই আশ্বাস যে নিছক আলেয়া ছাড়া আর কিছু নয়। সেকথা বুঝতে পেরেছেন ইসলামপুর ব্লকের ডাঙাপাড়া দোলঞ্চা নদীর পূর্ব পাড়ের বাসিন্দারা। মাটিকুণ্ডা ১ ও ২ এবং পণ্ডিতপোঁতা ১ পঞ্চায়েতের সংযোগস্থল হল ডাঙাপাড়া। দুই দশকেরও বেশি সময় থেকে নদীর উপর একটি সেতুর দাবি বাসিন্দাদের। কিন্তু সেই-দাবি আজও পূরণ হয়নি। নির্বাচন এলে তৃণমূল নেতারা কিছু মানুষ এনে সেতু নির্মাণ হয়ে যাবে বলে মাপজোক করেন। তবে এবার আর সেই নাটকে বিশ্বাস রাখতে পারছেন না স্থানীয় বাসিন্দারা। দীর্ঘদিনেও দাবি পূরণ না হওয়ায় একাংশ বাসিন্দারা ভিটেবাড়ি ফেলে এপার অর্থাৎ পশ্চিমপাড়ে বসতি গড়ে তুলেছেন। পণ্ডিতপোতা-১ পঞ্চায়েতের মজিদপুরের একাংশ বাসিন্দা আগে নদীর ওপারে চানমুনি গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। দুই দশকেরও বেশি সময় থেকে নদীর ওপারের বাসিন্দারা শুধু আশা করে যাচ্ছেন এক দিন না একদিন তাঁদের দাবি এর পূরণ হবে। মাঝেমধ্যে নেতাদের প্রতিশ্রুতি সেই আশার আলো হয়ে আসে। কিন্তু তা বাস্তবে রূপ পায় না। প্রশাসন জানিয়েছে, ওই স্থানে কংক্রিটের ব্রিজ নির্মাণের জন্য উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর থেকে মাপজোখ করা হয়েছে। বাসিন্দারা জানিয়েছেন,  কংক্রিটের ব্রিজ না থাকায় নদী পারাপারের মাধ্যম বাঁশের সাঁকো। শুখা মরশুমে সাঁকো দিয়ে পারাপার করা যায়। কিন্তু বর্ষার সময় জলের প্রবল স্রোতে সাঁকো ভেঙে যায়। তখন যোগাযোগে নৌকাই ভরসা। চানমুনি গ্রাম থেকে এপারে এসে বাড়ি করেছেন মহম্মদ রশিদ আলম। তিনি বলেন, এপারে চাষের জমিন আছে। ব্রিজ না থাকার কারণে ধান পাট চাষ করে ফসল ওপারে বাড়িতে নিয়ে যেতে খুবই অসুবিধা হয়। তাই অন্যন্য ভাইয়েরা এপারে চলে আসে। পরে আমিও এপারে চলে এসেছি।
নদীর ওপারের বাসিন্দারাও, জানিয়েছেন ভিটে বদলের। চানমুনির আরেক বাসিন্দা নৌশাদ আলি বলেন, আমাদের পাড়া থেকে ৪০ টি পরিবার নদীর ওপারে গিয়ে বাড়ি করেছেন। বাসিন্দারা বলেন, বাঁশের সেতু দিয়ে, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ডাঙাপাড়া, আশ্রম, গোধাগছ, কাশিবাড়ি,  কাঠালবাড়ি, বাঁশবাড়ি, বাসিন্দা সহ ডাঙাপাড়া জুনিয়ার হাইস্কুল, জগতাগাঁও হাই স্কুল সহ অনেক প্রাইমারি স্কুল, রহটপুর মাদ্রাসার পড়ুয়ারও যাওয়া আসা করে। কয়েক বছর আগে সাঁকো থেকে নীচে পড়ে গিয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছিল। বর্ষার সময় ১০-১৫ কিমি ঘুরপথে ইসলামপুর শহরে আসতে হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, বামফ্রন্টের সময়কালে নদীর উভয় দিকে পাকা রাস্তা হয়। এত দিন বামেরা থাকলে সেতু হয়ে যেত। তারা বলেন, এবারের নির্বাচনে বামফ্রন্ট সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী আলি ইমরান রামজ ওরফে ভিক্টর জিতলে তারা সেতু পাবেন। সিপিআই(এম) উত্তর দিনাজপুর জেলা কমিটির সদস্য স্বপন গুহ নিয়োগী বলেন, এত দিন তৃণমূল স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে প্রতারণা করেছে মানুষ তা বুঝতে পেরেছে। তৃণমূল মানুষের আবেগ নিয়ে খেলা করেছে। আশা করছি মানুষ জবাব দেবে ভোট বাক্সে।

Comments :0

Login to leave a comment