ATAL PENSION YOJNA

না জানিয়ে নাম কেন্দ্রের পেনশন প্রকল্পে, সরছেন উপভোক্তারা

জাতীয়

সরকারি বিজ্ঞাপনের এই চবির সঙ্গে মিলছে না বাস্তব।

না জানিয়েই খোলা হয়েছে অ্যাকাউন্ট। প্রকল্পের আকর্ষণও নেই। কেন্দ্রের ‘অটল পেনশন যোজনা’ থেকে নাম সরিয়ে নিচ্ছেন অনেকেই। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব সোশাল সায়েন্স রিসার্চের একটি প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমনই তথ্য। 
প্রতিবেদন জানিয়েছে নাম তুলে নেওয়ার একটি কারণ। বলা হয়েছে, না জানিয়েই ব্যাঙ্ক থেকে অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়া হয়েছে এই প্রকল্পের। নাম তুলে নেওয়া প্রতি তিনজনের একজনই তা জানাচ্ছেন। 
অটল পেনশন প্রকল্পে আয়করদাতা ছাড়া আর সকলেই অংশ নিতে পারেন। তবে বয়স চল্লিশের মধ্যে হতে হবে। প্রকল্পের নির্দেশিকা বলছে, গরিব এবং অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের বিশেষভাবে বিবেচনায় রেখে তৈরি এই প্রকল্প। যাতে অবসরের পর তাঁদের পেনশন নিশ্চিত হয়।
এই প্রকল্পে চল্লিশ বছরের কেউ নাম লেখালে নিয়মিত টাকা জমা রাখতে হবে। পেনশন মিলবে বয়স ষাটে পৌঁছালে। কুড়ি বছর ধরে অ্যাকাউন্টে টাকা জমা রাখলে সবচেয়ে বেশি ৫ হাজার টাকা এবং সবচেয়ে কম ১ হাজার টাকা করে মাসিক পেনশন মিলবে। জমা টাকার অঙ্কের ওপর নির্ভর করবে পেনশনের অর্থ।
সমীক্ষা প্রতিবেদন সামনে আসার পর কেন্দ্রের প্রকল্পকে দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। তিনি বলেছেন, ‘‘প্রচারে সামনের সারিতে থাকা প্রকল্প দুর্বল, জনতাকে ধোঁকা দিতে বানানো হয়েছে। এমনকি জোর করা হচ্ছে। মোদী সরকার খবরের শিরোনাম পেতে নানা কারসাজি করেও। এটিও তাই।’’ তাঁর অভিযোগ, আধিকারিকদের লক্ষ্য বেঁধে দিচ্ছে সরকার। অথচ মানুষ উৎসাহিত নন। ফলে না জানিয়েই প্রকল্পে নাম জমা করা হচ্ছে।
রমেশ লিখেছেন, ‘‘মোদীর মেয়াদে মূল্যবৃদ্ধির যা হার তাতে ২০৩৫ সালে ১ হাজার টাকা পেনশনের মূল্য দাঁড়াব ৬১৭ টাকা। অটল পেনশন প্রকল্পের এই পরিকল্পনা দুর্বল।’’
রমেশের মন্তব্যের পরই জবাব দিতে তৎপর হন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তিনি বলেন, ‘‘কংগ্রেস নিচের তলার মানুষের কথা ভাবেই না। ওরা চায় সরকারি অনুদানের ওপর এঁরা ভরসা করতে বাধ্য হন।’’ 
অর্থনীতির সাম্প্রতিক ‘নাজ’ তত্ত্বের উল্লেখ করেন সীতারামন। এই তত্ত্বে জনতাকে সরাসরি দেওয়ার বদলে ‘আলতো ঠেলা’ দিয়ে উৎসাহিত করার ওপর জোর দেওয়া হয়। সীতারামন বলেন, ‘‘রমেশ কথার আড়ালে ঘটনাকে আড়াল করতে চাইছেন। ভালো পেনশন প্রকল্পের মূল শর্তকে অস্বীকার করছেন।’’ 
রমেশ পালটা বলেছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি বিমা যোজনা এবং প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বিমা যোজনাতেও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে অনুমতি না নিয়েই জমা হয়েছে অনেকের টাকা। কাউকে না জানিয়ে জোর করে অ্যাকাউন্ট খোলা হচ্ছে। জোর করে টাকা জমা হচ্ছে। এটা কি ‘নাজ’ তত্ত্ব!’’

Comments :0

Login to leave a comment