electoral bond SBI

জমা হয়েছে নির্বাচনী বন্ড নম্বরও, সুপ্রিম কোর্টে জানালো স্টেট ব্যাঙ্ক

জাতীয়

নির্বাচনী বন্ডের সম্পূর্ণ তথ্য জমা দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনকে। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে হলফনামায় বলল স্টেট ব্যাঙ্ক। ১৮ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট স্টেট ব্যাঙ্ককে বন্ডের সম্পূর্ণ তথ্য জানানোর নির্দেশ দেয়। ২১ মার্চের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে তথ্য জানানো সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল।
হলফনামায় স্টেট ব্যাঙ্ক বলেছে বন্ডের ক্রেতা এবং গ্রহীতার তালিকায় আলফানিউমারিক নম্বর উল্লেখ করা হয়েছে। কোন রাজনৈতিক দলকে কে কত টাকা দিয়েছে তা বোঝা যাবে। 
স্টেট ব্যাঙ্কের এই তথ্য জানানোর কথা ছিল ৬ মার্চ। নির্বাচনী বন্ডকে অসাংবিধানিক এবং অস্বচ্ছ বলে খারিজ করে ওই দিনের মধ্যে পূর্ণ তথ্য দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল স্টেট ব্যাঙ্ক। 
কিন্তু সময়সীমা ফুরানোর মাত্র দু’দিন আগে ৩০ জুন পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন শীর্ষ আদালতে জমা করে দেশের বৃহত্তম ব্যাঙ্ক। বলা হয় এমন বিপুল সংখ্যার লেনদেনের তথ্য জানানোর জন্য সময়ের দরকার। সিপিআই(এম) সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি এবং দু’টি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সুপ্রিম কোর্টে স্টেট ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ দায়ের করেন। 
১১ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট স্টেট ব্যাঙ্ককে চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে তথ্য কমিশনকে জানানোর নির্দেশ দেয়। ১৪ মার্চ কমিশন তথ্য প্রকাশ করলে দেখা যায় কোন দল কাকে কত টাকা দিয়েছে তা বোঝা যাচ্ছে। দাতা এবং গ্রহীতার দু’টি আলাদা তালিকা দেওয়া হলেও কোথাও বন্ড নম্বরের উল্লেখ ছিল না। ১৮ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট স্টেট ব্যাঙ্ককে স্পষ্ট করেই জানায় যে সম্পূর্ণ তথ্য দিতে হবে, জানাতে হবে বন্ড নম্বর।
এদিন স্টেট ব্যাঙ্ক হলফনামায় বলেছে যে বন্ডের নম্বর দেওয়া হয়েছে। তবে সাইবার নিরাপত্তার স্বার্থে অ্যাকাউন্টের পূর্ণ নম্বর এবং ‘কেওয়াসি’-র বিশদ দেওয়া হয়নি। 
নির্বাচন কমিশন নতুন তালিকা প্রকাশ করলে বোঝা যাবে স্টেট ব্যাঙ্ক সত্যিই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মান্য করেছে কিনা। 
ইয়েচুরি বলেছেন, স্টেট ব্যাঙ্ক দেশের সবচেয়ে বড় ব্যাঙ্ক। লেনদেনের তথ্য প্রতিদিন জমা করা থাকে বিদ্যুতিন ব্যবস্থায়। স্টেট ব্যাঙ্কের সবচেয়ে বড় অংশীদার সরকার। বারবার দেরি করে তথ্য আটকানোর এই চেষ্টার পিছনে সরকারের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা উচিত আদালতের।
ইয়েচুরি বলেছেন, নির্বাচনী বন্ড সকলের সমান সুযোগের শর্তকে ধ্বংস করেছে। বিপুল অর্থ পেয়েছে একা বিজেপি। রাজনৈতিক দুর্নীতিকে বৈধতা দিয়েছে বিজেপি সরকারের এই আইন। দেশের গণতন্ত্রের ভিতকে ধ্বংস করার চেষ্টা হয়েছে। প্রথম থেকে সিপিআই(এম) বিরোধিতা করেছে, সংসদের ভেতরে এবং আদালতে। 
সিপিআই(এম) নির্বাচনী বন্ডে কোনও অর্থই নেয়নি। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর ‘আপ’, ডিএমকে’র মতো দশটি রাজনৈতিক দল বন্ডের মাধ্যমে প্রাপ্ত মোট অর্থ এবং দাতার নাম প্রকাশ করেছিল।

Comments :0

Login to leave a comment