শিলিগুড়ি বর্ধমান রোড সংলগ্ন একটি বেসরকারী নার্সিংহোমে বুধবার শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেসরকারী হাসপাতাল ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান মৃত শিশুর পরিবারের লোকজন। জানা গেছে, শিলিগুড়ির গঙ্গানগর এলাকার বাসিন্দা সন্তোষ দাস এদিন সকাল প্রায় সাতটা নাগাদ তার দুই বছর কন্যা সন্তানকে চিকিৎসার জন্য ওই বেসরকারী হাসপাতালে নিয়ে যান। পায়ে হেঁটেই শিশুটি হাসপাতালে গিয়েছিলো। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে যাবার পরে চিকিৎসা শুরুর দুই ঘন্টার মধ্যেই শিশুটির মৃত্যু হয়। শিশুর চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে গঙ্গানগরের স্থানীয় বাসিন্দারা হাসপাতালে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায়। মৃত শিশুর বাবার সন্তোষ দাস জানান, ‘‘সকাল থেকে মেয়ের বমি হচ্ছিলো। চার পাঁচবার বমি হয়। এরপর মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য কাছাকাছি ওই হাসপাতালে ছুটে আসতেই কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন। চিকিৎসকের সেই পরামর্শ মেনেই মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর অভিযোগ, একই ইনজেকশন দুইবার দেওয়া হয়েছে শিশুটির শরীরে। হাসপাতালে পৌঁছানোর পরে দুইজন নার্স পর পর তার মেয়েকে একই ইনজেকশন দেয়। অসুস্থ শিশুর শরীরে নার্সরা চ্যানেল তৈরী করার পরে কেউ ভালোভাবে নজরে রাখেনি। স্যালাইল দেওয়া হয়নি তাও তাদের নজরে ছিলো না। নার্সরা নিজেদের মোবাইলে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। স্যালাইন লাগানোর পরে কোন রকম পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়াই পর পর দুইজন নার্স এসে একই ইনজেকশন দেয়। কিছু সময়ের মধ্যেই শিশুটি ছটফট করতে শুরু করে। এরপরেই কন্যা শিশু সন্তানটি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে’’।
চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন মৃত শিশুর বাবা। তিনি জানিয়েছেন, পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হবে। এই ঘটনায় হাসপাতালের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান মৃত শিশুর পরিবার সহ স্থানীয় বাসিন্দারা। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবিষয়ে কোন কিছু বলতে চায়নি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় খালপাড়া ফাঁড়ির বিশাল পুলিশবাহিনী। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ওই বেসরকারী হাসপাতালে অ্যাডমিনিস্ট্রেটর শিশির দেবনন্দী জানান, সঠিক কি কারণে শিশুটির মৃত্যু হয়ে সেবিষয়ে আমরাও পরিষ্কারভাবে জানতে চাই। পুলিশ প্রশাসন ও সিএমওএইচের কাছে ময়নাতদন্তের জন্য আবেদন জানানো হয়েছে।
Comments :0