পেটের দায়ে গতর খেটে দুটো রোজগার করতে ভাইয়ের সাথে যাচ্ছিলেন ভীন রাজ্যে। কিন্তু মাঝপথে বাড়ির জন্য মন খারাপ করায় ফের বাড়ির পথ ধরেন। কিন্তু বাড়ি ফেরা আর হয় নি। ট্টেন থেকে নিঁখোজ হয়ে যান ওই পরিযায়ী শ্রমিক। সাথে থাকা ভাই খোঁজাখুজি করেও দাদার খোঁজ না পাওয়ায় খবর দেয় আরপিএফে। আরপিএফ হদিশ করে নিঁখোজ যুবকের। তবে জীবিত নয়, মৃত। আরপিএফ জানায়, উড়িশার কটকের কাছে রেললাইনে ধার থেকে উদ্ধার হয়েছে ওই যুবকের মৃতদেহ। প্রাথমিক অনুমান, দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে যুবকের। যা ভীনরাজ্যে কাজে গিয়ে দুর্ঘটনায় অকালের মৃত্যুর তালিকায় জুড়েছে বীরভূমের আরও এক পরিযায়ী শ্রমিকের নাম।
ঘটনায় শোকের আবহ তৈরি হয়েছে নানুরের বাসাপাড়ার গ্রামে। ওই গ্রামের বাসিন্দা বছর তিরিশের বৈদ্যনাথ নাথ রাজমিস্ত্রির কাজ করতে ভাইকে সাথে নিয়ে দিন চারেক আগে রওনা দিয়েছিলেন চেন্নাইয়ের উদ্দেশ্যে। বছর তিনেক আগে বিয়ে করেছেন এই যুবক।
নিহতের পরিবার জানিয়েছে, চেন্নাই ঢোকার আগে মন খুব খারাপ হয়ে যাওয়ায় ছেলেরা ফের উল্টোপথ ধরেন। বাড়ির আসার ট্রেন ধরেন। ফেরার পথে উড়িশায় হঠাই-ৎ ছোট ভাই তার দাদাকে আর দেখতে পান না। খোঁজাখুজি করেও হদিশ মেলে না। শেষে ছোটভাই হাওড়ায় নেমে আরপিএফকে সব জানান। আরপিএফ খোঁজ খবর করে জানায়, উড়িশার কটকে হাসপাতালের মর্গে রয়েছে দেহ। রেললাইনের ধার থেকে মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে বৈদ্যনাথের। বৃহস্পতিবার গ্রামে পৌছেছে সেই দেহ। শোকের আহব তৈরি হয়েছে গোটা গ্রামজুড়ে। মৃত পরিযায়ী শ্রমিকের বাবা ষষ্ঠী নাথ জানিয়েছেন, ‘‘দুই ছেলেই গিয়েছিল কাজে। যা খবর পেয়েছি তাতে ছেলে ট্রেনের দরজার কাছে ঘুমোচ্ছিল। সেখান থেকেই পড়ে গিয়ে ট্রেনে কাটা পড়েছে।’’
Comments :0