Jalpaiguri

নিষ্ক্রিয় হল তিস্তায় ভেসে আসা বিস্ফোরক

জেলা

Jalpaiguri ছবি - প্রবীর দাশগুপ্ত


সিকিমের বন্যায় জলপাইগুড়ি তিস্তায় ভেসে আসা সেনা ক্যাম্পের বিস্ফোরক, মর্টার শেল ইত্যাদি তিস্তাপারের বাসিন্দারা নদী থেকে কুড়িয়ে বাড়িতে নিয়ে যায়। জানা গেছে অনেকে আবার সেগুলিকে আলমারিতেও রেখে দিয়েছিলেন। ক্রান্তির বিস্ফোরণের পরেই আতঙ্ক ছড়ায়। এরপর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। আতঙ্ক শুরু হয় তিস্তাপারের বাসিন্দাদের মধ্যেও। এরপর বাড়িতে রাখা বিস্ফোরকগুলি এলাকার ধানখেতে, রাস্তার পাশে ফেলে রেখে চলে যায়। গত কয়েকদিন ধরে চলছে সেনা বাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে বিস্ফোরকগুলি নিষ্ক্রিয় করার কাজ। 
টাইমার সেট করে বিস্ফোরণ করা হয়। স্থানীয়দের এদিন প্রায় তিনশো মিটার দূরে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ব্লাস্ট হওয়া রকেট লঞ্চারের আওয়াজে কেপে উঠে এলাকা। এইভাবেই শুক্রবারও দিনভর তিস্তা পাড়ের একাধিক জায়গায় বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় করা হয় বলে জানা গেছে। এদিকে রকেট লঞ্চারের শেল বিস্ফোরণে উড়ে গেল একটি বাড়ির চাল, হেলে পড়ল কংক্রিটের খুঁটি। তিস্তাপার থেকে রকেট লঞ্চারের শেল, মর্টার, বফর্স চার্জার উদ্ধারের বিরাম নেই৷ গতকাল থেকে এ দিন পর্যন্ত অন্তত ১০টি শেল এবং চারটে বফর্স চার্জার উদ্ধার হয়েছে। শুক্রবার জলপাইগুড়ির রংধামালির চরে উদ্ধার হওয়া রকেট লঞ্চারের বড় শেল ফাটিয়ে নিষ্ক্রিয় করেছে সেনা বাহিনী। শুক্রবার ভোরে রংধামালির চরে হাতির দল এসেছিল। যেখানে শেলগুলি পড়ে ছিল তার আশপাশ দিয়েই হাতির দল ঘোরাফেরা করেছে। এলাকার বাসিন্দাদের আশঙ্কা, কোনওভাবে শেলের ওপরে হাতির পা পড়ে গেলে বিস্ফোরণের আশঙ্কা ছিল। 
জেলা প্রশাসনের তরফে নদীতে নামা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেনা বাহিনীর তরফে দাবি করা হয়েছে, জলপাইগুড়িতে উদ্ধার হওয়া সব বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। সেনা বাহিনীর বোম নিষ্ক্রিয় করা ইউনিটের দায়িত্বে থাকা মেজর স্তরের এক অফিসার জানান, যত বিস্ফোরক পাওয়া গিয়েছিল সব নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।

 

Comments :0

Login to leave a comment