‘‘নির্বাচন আমাদের কাছে মতাদর্শগত লড়াই। যখন বিজেপি এবং আরএসএস দেশকে গিলে খেতে চাইছে তখন মতাদর্শের প্রশ্ন আরও বড়। সারা রাজ্য চষে বেড়াচ্ছি আমরা। মানুষ সোৎসাহে কাছে আসছেন। নির্বাচনী বন্ডের বিরুদ্ধে নিজেদের অর্থ দিচ্ছেন। সাশ্রয় করে সেই অর্থ দিয়েই প্রচারের কাজ চালাচ্ছি আমরা।’’
বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে এক প্রশ্নে নির্বাচনী প্রচারের এমনই অভিজ্ঞতা শুনিয়েছেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রে প্রার্থীও তিনি। কংগ্রেস প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেছেন যে ‘সেলিমের জয় নিশ্চিত’। এই প্রসঙ্গেই সেলিম মতাদর্শগত লড়াইয়ের প্রসঙ্গ টেনেছেন। সেলিম বলেছেন, আমরা জিতে বসে নেই। এমন মনেও করি না।
প্রচার প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘‘প্রচার তুঙ্গে। তৃণমূলের দেখা নেই। বিজেপি-কে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বামফ্রন্টের প্রার্থীরা আলিপুরদুয়ার থেকে জলপাইগুড়ি থেকে ঝাড়গ্রামে লড়াইয়ের মধ্যে রয়েছেন। আমরা নিশ্চিত বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসের আসন বোঝাপড়া রাজ্যে তৃণমূল এবং বিজেপি-কে পরাজিত করতে পারবে।’’
রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নে সেলিম বলেন, ‘‘বুথে আসলে মানুষের বাহিনী গড়ে রক্ষা করতে হবে। বিশেষ দায়িত্ব নিতে হবে মহিলা এবং যুবদের। যাতে মানুষ নিজের ভোট নিজে দিতে পারেন। যাতে বাংলাকে দেশকে রক্ষা করা যায়। আমরা সে কাজই করছি।’’
তিনি বলেছেন, ‘‘কেন্দ্রীয় বাহিনীর এই কোম্পানি বা রাজ্যের পুলিশ মানুষকে রক্ষা করবে না চোর জোচ্চোর স্মাগলারদের রক্ষা করবে এটাই বড় প্রশ্ন।’’ রাজ্যে এসেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী এবং বিজেপি নেতা অমিত শাহ। আর এদিনই সেলিম বলেছেন, ‘‘কোচবিহারে এত কোম্পানি দিতে হচ্ছে কারণ যার জেলে থাকার কথা সে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ডেপুটি (নিশীথ প্রামাণিক) হয়েছে। সে তৃণমূলের তোবাজ ছিল এখন বিজেপি’র তোলাবাজ হয়েছে।’’
অমিত শাহ এদিন দেশের ৩৭০ আসনের জন্য রাজ্য থেকে বিজেপি’কে ৩০ আসনে জয়ী করার আবেদন জানান। এক প্রশ্নে সেলিমের মন্তব্য, ‘‘এর আগে বলেছিলেন পঁয়ত্রিশ এখন বলছেন ত্রিশ এরপর বলবেন বিশ তারপর লোকে বলবে চারশো বিশ।’’
সেলিম বলেন, ‘‘এত অসহায় কেন বিজেপি। মমতা অভিষেকের বিপক্ষে এত ঘোষণা করার পরও ব্যবস্থা নিতে পারল না কেন। এত কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে কাকুর স্বর জোগার করতে পারল না। আর স্বর জোগার করলেও রিপোর্ট দিতে পারল না।’’
এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘আমাদের অবস্থান স্পষ্ট। কোচবিহারে বামফ্রন্ট প্রার্থীর হয়েই প্রচার করছে সিপিআই(এম)। আর পুরুলিয়ায় বামফ্রন্টের সঙ্গে কংগ্রেসের সমঝোতা হয়েছে। কংগ্রেসের প্রার্থীকেই সমর্থন করছে। ওখানে বামফ্রন্টের কোনও প্রার্থী নেই।’’
আরেক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘এর আগে মমতা প্ররোচনা দিয়েছিলেন। তার জেরে শীতলকুচিতে ৫ জনের প্রাণ গিয়েছিল। এখন আর মমতার এসব কথায় চিঁড়ে ভিজবে না।’’ তিনি বলেন, ‘‘লুটেরাদের আটকাতে বলছি আমরা। আর মমতা বলছেন লুটের রাজত্ব কায়েম করতে। দুয়ের মধ্যে তফাত আছে।’’
Comments :0