শ্রমিক, কৃষক, খেতমজুর ও বস্তির মানুষের দাবিকে সামনে রেখে আগামী ২০ এপ্রিল ব্রিগেড সমাবেশের ডাক দিয়েছেন শ্রমিক-কৃষক-খেতমজুর-বস্তিবাসীরা। ব্রিগেড সমাবেশের সমর্থনে প্রচার চলছে রাজ্যজুড়ে। শ্রমিক বিরোধী শ্রম কোড বাতিল এবং কাজের সুরক্ষার মতো একাধিক দাবিতে ২০ মে দেশজুড়ে সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে সিআইটিইউ সহ দশটি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন। শুক্রবার ২০ এপ্রিল ব্রিগেড সমাবেশ ও ২০ মে সাধারণ ধর্মঘটের সফল করার কথা বললেন বর্ধমানের রাইস মিলের শ্রমিকরাও। এদিন বর্ধমান শহরের কর্মরত রাইস মিল শ্রমিকদের কাছে ‘‘কেন ব্রিগেড - কেন ধর্মঘট’’ - তার তাৎপর্য ব্যখা করলেন সিআইটিইউ নেতৃবৃন্দ। তিনটি রাইস মিলের ৩০০’র বেশি শ্রমিকরা কাজ বন্ধ রেখে, আগ্রহ সহকারে নেতৃত্বের কথা শোনেন। বর্ধমান শহর ২ নং এরিয়া সমন্বয় কমিটির রাইসমিল ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের পক্ষ থেকে এই কর্মসূচি নেওয়া হয়। ছিলেন সিআইটিইউ জেলা সম্পাদক তাপস চ্যাটার্জি, শহর ২ নং এরিয়া কমিটির সম্পাদক দীপঙ্কর দে, রাইস মিল ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের জেলা সভাপতি তুষার মজুমদার ও রাইস মিল ইউনিয়নের নেতৃত্ব গৌতম দাস ও ভক্তি পদ বেরা। নেতৃত্বরা বলেন, শ্রমিকরা উৎপাদন করেও নায্য মজুরি পাচ্ছেন না। সব শ্রমিকরা পিএফ,বোনাস, গ্রাচুইটি, সবেতন ছুটি, অতিরিক্ত ৮ ঘন্টা কাজের জন্য ওভার টাইম নিয়মিত পাচ্ছেন না। অনেক মিলে শ্রমিক ছাঁটাই হচ্ছে এমনকি মজুরি বাড়ানোর দাবি করলে মিথ্যা চুরির কেস দিয়ে জেলে পাঠাচ্ছে। সিআইটিইউ এসবের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক ভাবে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। নেতৃত্ব আরো বলেন,এই সময়ে রাজ্যে কোন শিল্প হয়নি। মোদী-মমতা সরকার মালিক শ্রেণিকে কিভাবে সুবিধা পাইয়ে দিচ্ছে অন্যদিকে শ্রমজীবী মানুষদের কিভাবে ধোঁকা দিচ্ছে তা বিশদে আলোচনা করেন। শ্রমকোড কিভাবে অসংগঠিত শ্রমিকদের সর্বনাশ করবে সেই বিষয়ে শ্রমিকদের অবহিত করেন। নেতৃত্ব বলেন, শুধু মজুরি বৃদ্ধির আন্দোলন নয় আমরা মজুরি দাসত্বের অবসান চাই। আমরা শ্রমিক - এই পরিচয়ে বাঁচতে চাই। শ্রমিকরা মন দিয়ে নেতৃত্বের কথা শোনেন। যখন সিআইটিইউ জেলা সম্পাদক বলেন,‘‘আমরা ব্রিগেড যাবো তো? আমরা ধর্মঘট করবো তো?’’ তখন ঘামে ভেজা শ্রমিকদের মুষ্টিবদ্ধ হাত জানান দেয়, ব্রিগেডও যাবো, ধর্মঘট সফল আমরাই করবোই।
Brigade Rally
শ্রমিকদের মুষ্টিবদ্ধ হাত জানান দিল, আমরা ব্রিগেডও যাবো, ধর্মঘট আমরাই করবো

×
Comments :0