গত মঙ্গলবার দিল্লির বেসরকারি একটি স্কুলের এক ছাত্রের আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে। দশম শ্রেণির ওই ছাত্র রাজেন্দ্র প্লেস মেট্রো স্টেশনের ২ নম্বর প্লাটফর্ম থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানা যাচ্ছে। ছাত্রের স্কুলব্যাগ থেকে মিলেছে সুইসাইড নোট, অভিযোগ উঠেছে তার স্কুল শিক্ষিকার বিরুদ্ধে।
পরিবার সূত্রে অভিযোগ ,তার স্কুল শিক্ষিকা বহুদিন ধরে তাকে অকারণে বকাঝকা করেছিলেন এছাড়াও তার অন্যান্য সহপাঠীদের সামনে তাকে অপমান করতেন। ফলে ওই ছাত্র বহুদিন ধরে অবসাদগ্রস্থ ছিলেন। জানা যাচ্ছে , ওই ছাত্রের মৃত্যুর আগের দিন , ড্রামা ক্লাসে হটাৎ সে পা পিছলে পরে যাওয়ায় ওই শিক্ষিকা তাকে সবার সামনে অপমান করেন এবং বহিস্কৃত করার হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। তবে কি এই ঘটনার পর মানসিক অবসাদের জেরেই আত্মহত্যার পথ বেঁচে নিল ওই ছাত্র সেই বিষয় খুঁটিয়ে দেখছে পুলিশ।
পরিসংখ্যায় বলছে চলতি মাসে তিন রাজ্যে চারজন পড়ুয়ার আত্মহত্যা খবর পাওয়া গেছে। গত ১ নভেম্বর রাজস্থানের জয়পুর নীরজা মোদী স্কুলের ৯ বছর বয়সী এক ছাত্রী স্কুল বিল্ডিং থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করে। সেক্ষেত্রও অতিরিক্ত বকাঝকার অভিযোগ উঠে স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে। গত ১৬ নভেম্বর মধ্যপ্রদেশের ১৭ বছর বয়সী এক ছাত্রী আত্মহত্যা পথ বেছে নেয়। তার বাড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় দেহ। সেখানেও অভিযোগ উঠে তার স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ওই ছাত্রী তার সুইসাইড নোট জানায় তাকে ওই শিক্ষক তার দুই আঙুলের মধ্যে পেন ঢুকিয়ে চাপ দিত এবং শাস্তি দিত। গত ১৯ নভেম্বর রাজস্থানের কারাউলি জেলার ১৪ বছর বয়সী ক্লাস ৯ এর এক ছাত্রে দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। এইক্ষেত্রেও অভিযোগের তীর তারই স্কুলের দুই শিক্ষক এবং স্কুল কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
পর পর এতগুলো আত্মহত্যার মামলায় অভিযোগের তীর সেই শিক্ষকের দিকেই। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সমাজ গড়ার কারিগর বলা হয়। কিন্তু এখন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ভূমিকাই প্রশ্নের মুখে। প্রত্যেকটি ঘটনার কারণই পুলিশ খতিয়ে দেখছে।
Student Suicide
রাজধানীতে আত্মঘাতী পড়ুয়া
×
Comments :0