কথায় আছে, যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই সন্ধ্যা হয়। এখন আর বাঘের দেখা পাওয়া না গেলেও হাতি সহ বন্যপ্রাণীর উপদ্রব আছে। বিশেষ করে চা বাগান ও বনবস্তি এলাকায়। আছে চিতাবাঘ, হাতি সহ অন্যান্য বন্য জন্তুর উপদ্রব। এজন্য সব বনবস্তিতে ভোট গ্রহণের জন্য বিশেষ সতর্কতা নেওয়া হয়। নাগরিকরাও তাঁরাও দুপুরের মধ্যেই ভোট দিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন।
এই রকম এক ভোট গ্রহণ কেন্দ্র রয়েছে মাল বিধানসভা এলাকার মাল ব্লকের আপালচাঁদ বনাঞ্চল সংলগ্ন মেচবস্তিতে। বৈকুন্ঠপুর
ডিভিশনের তারঘেরা রেঞ্জের এই বনবস্তির চার দিক বনাঞ্চলে ঘেরা। ছড়িয়ে ছিটিয়ে প্রায় ৩০০ পরিবারের বাস। একটি মাত্র ভোটকেন্দ্রে ভোটদাতা প্রায় সাতশো। হাতি চিতার উপদ্রব নিত্য সঙ্গী। এহেন ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ রীতিমত চ্যালেঞ্জ প্রশাসনের কাছে। সেজন্য নেওয়া হয়েছে বাড়তি সতর্কতা।
কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে ভোটকেন্দ্রে ছিল বনকর্মীদের একটি দল। এই ভোট কেন্দ্রের ভোটাররাও বেলা থাকতে থাকতে ভোট শেষ করেন। স্থানীয় বাসিন্দা তারা শৈব, বীরেন শৈব জানান, বিকেল হতেই হাতির দল এক বন থেকে বেরিয়ে অন্যত্র যাতায়াত করে। এজন্য তাড়াতাড়ি ভোট দেন তারা।
সেক্টর অফিসার মানস দে জানান, বেলা ১টার মধ্যে ৭১ শতাংশ ভোট শান্তিতে হয়ে গেছে। বিশেষ সতর্কতা হিসেবে বনকর্মীদের ট্যাগিং করা হয়েছে।
বিট অফিসার শ্যাম তামাং জানান, ভোট শেষ হতেই আমরা রেসকিউ করে ভোট কর্মীদের বনাঞ্চলের এলাকা পার করে দেব।
ভোটারদের কাছ থেকে জানা গেছে, এই ভোট কেন্দ্রে বেলা ৩টার মধ্যে ভোট শেষ হয়ে যায়। তারপর কেউ বনাঞ্চলের রাস্তায় চলাচল করেন না।
FOREST BOOTH
বন্যপ্রাণীর ভয়ে দুপুরের মধ্যে ভোট শেষ আপালচাঁদের মেচবস্তিতে
×
Comments :0