পাহারা এড়িয়ে আমেরিকায় ঢুকতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে ভারতীয় গোটা পরিবারের। গুজরাটের এই পরিবারে ছিল দুই শিশুও। মর্মান্তিক ঘটনায় বাবা এবং মায়ের সঙ্গে মৃত্যু হয়েছে তাদেরও।
প্রচন্ড ঠাণ্ডায় লুকিয়ে খোলা আকাশের নিচে থাকতে হয়েছিল অনেকক্ষণ। ঠাণ্ডাতেই জমে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে গোটা পরিবারের।
লুকিয়ে বা সীমান্ত প্রহরা ফাঁকি দিয়ে ডোকার ক্ষেত্রে আমেরিকার প্রতিবেশী দেশ কানাডায় আশ্রয় নেন অনেকে। দালালদের হাত ধরে এই পরিবারও কানাডায় আশ্রয় নিয়েছিল। কেবল এই পরিবার নয়, সব মিলিয়ে ১১ জন ভারতীয়ের একটি দল চোরাপথে আমেরিকায় ঢোকার চেষ্টা করছিল। ঘটনা যদিও ২০২২ সালের। কিন্তু পুরো বৃত্তান্ত সামনে এসেছে অভিযুক্ত একজনের শুনানি থাকায়। হর্ষকুমার প্যাটেল নামে ওই দালালকে চোরাপথে মানুষ পাচারের কালো জগতে ডাকা হতো ‘ডার্টি হ্যারি’। সোমবার আমেরিকার আদালতে শুনানি রয়েছে ধৃত এই দালালের।
২০২২’র জানুয়ারিতে মোট ১১ জনকে সীমান্ত পার করাতে গিয়েছিল হর্ষ প্যাটেল। সে সময়েই মারা গিয়েছিল ওই ভারতীয় পরিবার। পাওয়া গিয়েছিল প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় জমে যাওয়া জগদীশ প্যটেল, তাঁর তিন বছরের পুত্র ধার্মিক, কিশোরী কন্যা বিহঙ্গী এবং স্ত্রী বৈশালীবেনকে।
জগদীশ এবং স্ত্রী স্কুল শিক্ষিকা ছিলে গুজরাটে। মোটা টাকা দিয়ে আমেরিকায় যেতে চেয়েছিলেন। একেকজনকে পার করাতে দালালরা নেয় প্রায় ৭৬ লক্ষ টাকা।
আমেরিকার অবৈধ অভিবাসন রোধ বিভাগ জানিয়েছিল গত পাঁচ বছরে লাফিয়ে বেড়েছে ভারতীয়দের অবৈধ অভিবাসন। নরেন্দ্র মোদী সরকারের মেয়াদেই এই প্রবণতা লাফিয়ে বেড়েছে। গত ২২ অক্টোবর আমেরিকা বিশেষ বিমান ভাড়া করে এমন বেশ কিছু ভারতীয়কে দেশে ফিরিয়েছে।
আমেরিকার শুল্ক এবং সীমান্ত সুরক্ষা বিভাগের তথ্য জানাচ্ছে, গত বারো মাসে মেক্সিকো এবং কানাডা সীমান্ত দিয়ে কাগজপত্র ছাড়া অবৈধ অভিবাসনের দায়ে আটক করা হয়েছে মোট ২৯ লক্ষকে। তার মধ্যে ৯০ হাজার ৪১৫ ভারতীয় রয়েছেন। এই ভারতীয়দের আবার প্রায় ৫০ শতাংশই গুজরাটের বাসিন্দা।
Family Froze to Death
লুকিয়ে আমেরিকায় ঢুকতে গিয়ে ঠাণ্ডায় জমে মৃত গুজরাটের গোটা পরিবার
×
Comments :0