BJP RAKESH TIKAYET

বিজেপি’র ইশ্‌তেহারকে বিশ্বাস করছেন না কৃষকরা: টিকায়েত

জাতীয়

বিজেপি’র ইশ্‌তেহারকে বিশ্বাস করছেন না কৃষকরা। বিজেপি’র সরকারকে কবজা করে রেখেছে কয়েকটি কর্পোরেট গোষ্ঠী। তাদের সুবিধা মতো চলছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। 
একটি সাক্ষাৎকারে সরাসরি এই ভাষাতেই ক্ষোভ জানালেন কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত। কৃষক সংগঠনগুলি যৌথ মঞ্চ সংযুক্ত কিসান মোর্চার নেতা টিকায়েত বলেছেন, ‘‘দাবি আদায়ের জন্য কৃষক সংগঠনগুলিকে আরও কড়া আন্দোলন করতে হবে। সরকারের থেকে প্রত্যাশার কিছু নেই।’’
টিকায়েত বলেছেন, ‘‘২০১৪’তে বিজেপি’র নির্বাচনী ইশ্‌তেহারকেও আমরা বিশ্বাস করিনি। সেখানে স্বামীনাথন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর করার কথা বলা হলেও বাস্তবে হয়নি।’’
কেন্দ্রে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোট ইউপিএ-১ সরকারের মেয়াদে গড়া হয় কৃষক কমিশন। কৃষিবিজ্ঞানী এমএস স্বামীনাথনের কমিশনই কৃষকদের চাষের খরচ সঠিকভাবে হিসেবের সূত্র দেয়। এই খরচের সঙ্গে ৫০ শতাংশ যোগ করে ফসলের সরকারি দাম বা এমএসপি ঠিক করার সুপারিশও করে। নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বিজেপি সরকার আসীন হয়েছিল সুপারিশ কার্যকর করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে। কিন্তু দেশে কৃষক আন্দোলন বারবারই খরচের তুলনায় দাম না পেয়ে আন্দোলনে নেমেছে। বেড়েছে কৃষক আত্মহত্যা। 
টিকায়েত বলেছেন, ‘‘বিজেপি মানুষকে বোকা বানাতে চাইছে। কেন্দ্রের সরকার চাষের খরচের হিসেবে কারচুপি করছে। উপকরণ এবং পারিবাকির শ্রম কেবল হিসেবে আনছে। এর বাইরে অন্য খরচ যোগ করার সুপারিশ করেছিল স্বামীনাথন কমিশন। তা মানা হচ্ছে না।’’
উপকরণের দাম এবং পারিবারিক শ্রমের সঙ্গে জমির খাজনার মূল্য এবং স্থায়ী মূলধনের সুদের হার যোগ করে মোট খরচ ঠিক করতে বলেছিল কমিশন। এই দুই অংশ খরচের হিসেবে রাখছে না কেন্দ্র। সারা ভারত কৃষক সভা বিভিন্ন সময়ে হিসেব দিয়েই দেখিয়েছে যে সহায়ক মূল্য যা হওয়ার তার চেয়ে কম দিচ্ছে কেন্দ্র। 
দেশের কৃষক আন্দোলন জোরালো করেছে সরকারি দামে ফসল কেনা বাধ্যতামূলক করতে আইনের জন্য। বিজেপি সরকার সেই প্রতিশ্রুতি দিলেও হয়নি আইন। সংযুক্ত কিসান মোর্চা বলেছে, স্বামীনাথন কমিশনের সুপারিশ মেনে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ঠিক করা প্রসঙ্গে কোনও কথাই নেই বিজেপি’র ইশ্‌তেহারে। কৃষক এবং খেতমজুরদের সঙ্গে যেন যুদ্ধে নেমেছে বিজেপি। 
টিকায়েত বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী ২০৪৭’র কথা বলছেন। ততদিন বিজেপি সরকারে থাকলে দেশের ৭০ শতাংশ কয়েকজন পুঁজিপতির হাতে চলে যাবে। কৃষকদের সব জমি কেড়ে নেওয়ার লক্ষ্যে নামবে।’’ 
কৃষকনেতার ব্যাখ্যা, ‘‘হাইওয়ের কাছে এমনভাবে কাজ হচ্ছে যে কৃষিজমি ঘিরে ফেলা হচ্ছে। সেখানে চাষ করা সম্ভব হচ্ছে না। চারদিকে দেওয়াল তুলে দেওয়া হচ্ছে। কৃষককে বাধ্য করা হচ্ছে কম দামে জমি বেচতে। কর্পোরেট গোষ্ঠী বা তাদের সহচররা জমি কিনছে ব্যবসায়িক লক্ষ্যে। জমি হারাচ্ছেন কৃষক।’’

Comments :0

Login to leave a comment