Durgapur Dengue

দুর্গাপুরে ডেঙ্গুতে মৃত্যু কলেজ পড়ুয়ার

রাজ্য

Durgapur Dengue


ডেঙ্গু ক্রমশ ছড়াচ্ছে, বাড়ছে মৃত্যু। কলকাতা সহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন শহর ও গ্রামাঞ্চলে প্রতিদিন হাসপাতাল ও চিকিৎসাকেন্দ্রগুলির আউটডোরে লম্বা লাইন চোখে পড়ছে। দুর্গাপুরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কলেজ পড়ুয়ার মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। মৃতের নাম অবিনাশ সাউ (২০)। বাড়ি আসানসোল( দক্ষিণ) থানা ও ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত এসবিগরাই রোড রাঙ্গানিয়াপাড়ায়। আসানসোল বিবি কলেজের ছাত্র ছিল। আসানসোল জেলা হাসপাতাল থেকে তাকে দুর্গাপুরে একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে স্থানান্তর করা হয়েছিল। ৫/৬ দিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা নাগাদ নার্সিংহোমে তাঁর মৃত্যু হয়। 


ডেঙ্গু ক্রমশ ছড়াচ্ছে, বাড়ছে মৃত্যু। বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, রাজ্যে উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গ মিলিয়ে মোট ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ১২ হাজার। চলতি মরশুমে এখনো পর্যন্ত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তবুও রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের বক্তব্য, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণেই আছে, এলাকা পরিষ্কারের কাজ নিয়মিতই হচ্ছে। অথচ বিভিন্ন তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে প্রতি সপ্তাহে প্রায় দেড় হাজার ডেঙ্গু ধরা পড়ছে রাজ্যে। নিয়মিত আবর্জনা, জমা জল পরিষ্কার হচ্ছে না বলে অভিযোগ বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের।


এদিনও দুর্গাপুরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কলেজ পড়ুয়ার মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ মৃতের ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্যুর কারণ হিসাবে লিখেছে ‘ ডেঙ্গু হিমোরেজিকফিভার’। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা ড. ইউনুস খান ডেঙ্গুতে মৃত্যুর কথা স্বীকার করে ডেঙ্গু নির্ণয় পদ্ধতি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে বলেছেন, মৃতের রক্তের অ্যালিজা টেস্ট করা হয়নি, কিট্‌স টেস্ট করা হয়েছিল। নার্সিংহোমের পক্ষ থেকে অ্যালিজা টেস্টের জন্য রক্তের নমুনা বাইরে পাঠানো হয়েছে। অ্যালিজা টেস্টের রিপোর্ট এলে তারা আমাদের জানাবে। তিনি আরো বলেছেন, রাঙ্গানিয়াপাড়ায় মৃতের বাড়িতে ডেঙ্গুর প্রচুর লার্ভা পাওয়া গিয়েছে। তবে পরিবারে কারো জ্বর নেই। স্বাস্থ্য দপ্তরের টিম এলাকায় গিয়ে মশা নিয়ন্ত্রণের জন্য ওষুধ স্প্রে করেছে। এলাকায় অনেকগুলি খাটাল রয়েছে। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, নর্দমা পরিষ্কার করা হয়না। 


জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, গত এক সপ্তাহে আসানসোল পৌর কর্পোরেশন এলাকায় ডেঙ্গুর অ্যাকটিভ কেস ১৬টি। দুর্গাপুর পৌর কর্পোরেশন এলাকায় গত এক সপ্তাহে ডেঙ্গুর অ্যাকটিভ কেস ১৭টি। কাঁকসা পঞ্চায়েত এলাকায় গত জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুর হয়েছে ৫ জনার। জেলার অন্যান্য গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় তেমন ডেঙ্গু ছড়ায়নি। একটি দুটি করে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা পঞ্চায়েত এলাকায়।

Comments :0

Login to leave a comment