Tajpur

আইন না মেনেই অবৈধ নির্মাণ চলছে তাজপুর সমুদ্রতটে

রাজ্য

উপকূল রক্ষায় সি আর জেড আইন লাগু আছে। তা সত্ত্বেও সি আর জেড চিহ্নিত এলাকার মধ্যে ঢুকে পড়ে হোটেল নির্মাণের ঘটনা সমানে চলে আসছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মান্দারমনি, তাজপুর, শৌলা এলাকায়। পরিবেশ দপ্তরের অভিযোগের ভিত্তিতে, কোর্টের নির্দেশে কয়েক মাস আগে জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি মান্দারমনি, তাজপুরে শতাধিক বেআইনি হোটেল ভাঙার নির্দেশ জারি করেছিলেন। হোটেল মালিকরা বেজায় ক্ষুব্ধ হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছিলেন। পরবর্তীকালে সেই নির্দেশ স্থগিত হয়ে যায় হোটেল মালিকরা ব্যবসা ও নির্মাণ কার্য চালিয়ে যাচ্ছেন এখনও পর্যন্ত। ২০১২ সালে মমতা ব্যানার্জি সমুদ্র উপকূলে মান্দারমনিতে এসে উপকূল থেকে ৫০০ মিটারের মধ্যে কোন হোটেল নির্মাণ হবে না এরূপ নির্দেশ দিয়ে গেছিলেন। শুনে কে কার কথা। হোটেলে বসে সমুদ্রের জল পা পর্যন্ত এসে ছুঁয়ে যাবে , ঢেউ খেলে যাবে, হোটেল থেকেই সমুদ্রে ঝাঁপ দেবে ,তাতেই মজা। তাই উপকূলের বিধি শিকেয় তুলে দিয়ে বেআইনি নির্মাণের কাজে লিপ্ত কিছু হোটেল মালিক। মেরিন ড্রাইভ ধরে সমুদ্র উপভোগ করার মজা একটু আলাদা রকম। তাই সমুদ্র তটের দখল নিয়ে গাড়োয়াল গেঁথে চলছে হোটেল নির্মাণের কাজ। বেআইনি এই কাজের দায় এড়িয়ে যাচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন। মেরিন ড্রাইভের জলধা সেতু লাগোয়া তাজপুরে মাথা তুলছে বেআইনি এই হোটেল। চোখের সামনে মান্দারমনি কোস্টাল থানা। দেখেও না দেখার ভান করে যায়। কেউ অভিযোগ করলে চোখের দেখায় গরীব শ্রমিকদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। ঠিক আবার সেই কাজ শুরু হয়। আসল মালিকের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে পারেনা প্রশাসন। অবৈধ নির্মাণে কাজ করছিলেন স্থানীয় শ্রমিক তপন মাইতি ও উত্তম জানাদের বক্তব্য আমরা পেটের দায়ে কন্ট্রাক্টরের অধীনে কাজ করি। তবে এই বেআইনি কাজ করার পিছনে প্রশাসনিক মদত ছাড়া হয় না। হোটেল অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য শ্যামল দাস জানান এসোসিয়েশন গত বাধা দিলেও বাধা শুনছে না অনেকে। তার কারণ প্রশাসনিক মদত আছে, ফলে সিআরজেড আইন না মেনেই অবৈধ নির্মাণ চলছে।
এলাকার সিপিআই(এম) নেতা আশীষ প্রামাণিক বলেন, ‘‘উপকূল রক্ষার দায়িত্ব প্রশাসনের। কোনোভাবেই এড়িয়ে যেতে পারে না। প্রতিবছরই ভাঙ্গন হয়। এলাকার মানুষ প্রতিবছর ক্ষতিগ্রস্ত হন। সমুদ্র ভাঙ্গন রোধে সেদিকে প্রশাসনের কোন নজর নেই।’’
স্থানীয় সিপিআই(এম)’র আরেক নেতা সুরঞ্জন গিরি বলেন,‘‘ পুলিশ প্রশাসনের মদত ছাড়া তাজপুরের এই হোটেলটি নির্মাণ কখনোই সম্ভব নয়।’’
এই প্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ বহিরাগত কিছু ধনী ব্যক্তি স্থানীয় ঠিকাদার এবং প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে এই বেআইনি নির্মাণ চালিয়ে যাচ্ছেন।

Comments :0

Login to leave a comment