শুভঙ্কর দাস
পুরনো বছর শেষ হয়ে নতুন বছর শুরুর অপেক্ষা। সেই আবহে ফিরে দেখা যাক ফেলা আসা বছরের ক্রীড়াক্ষেত্রের উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটনা।
২০২৩ সালে চীনের হাংঝৌ এশিয়াড যেন স্বপ্নের দৌড় ছিল ভারতের জন্য। টুর্নামেন্টে মোট ১০৭টি মেডেল জেতেন ভারতীয় ক্রীড়াবিদরা। এরমধ্যে রয়েছে ২৮টি সোনার মেডেল। মেডেল তালিকায় চীন, জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার ঠিক পরেই শেষ করে ভারত। এশিয়াডের ইতিহাসে এটাই ছিল ভারতের সেরা পারফর্মেন্স।
অন্যদিকে, এই প্রথম এশিয়ান গেমসের মঞ্চে ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করল ভারত। পুরুষ এবং মহিলা ক্রিকেট দল সোনার মেডেলও জেতে। ব্যাডমিন্টন জগতে চিরাগ শেট্টি এবং সাত্ত্বিক রানকিরেড্ডি নজর কেড়েছেন। এশিয়ান গেমসের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে, পাকিস্তানকে ১০-২ গোলে হারায় ভারতীয় পুরুষ হকি দল। এই দল সোনাও জেতে এশিয়াডে।
ফেলে আসা বছর সাক্ষী থেকেছে ভারতীয় অ্যাথলিট নীরজ চোপড়ার বিশ্বজয়ের। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের মঞ্চে স্বর্ণপদক জেতেন এই ভারতীয় অ্যাথলিট। নিঃসন্দেহে আমাদের দেশের ক্রীড়াজগতে অন্যতম একটি মাইলস্টোন। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে দ্বিতীয় হন পাকিস্তানের আরশাদ নাদিম। নীরজের সোনা জয়ের পরে তাঁকে জড়িয়ে ধরেন আশরাফ। উপমহাদেশের সাম্প্রতিক দমবন্ধকর পরিস্থিতির মাঝে এই দৃশ্য ছিল এক দমকা মুক্ত বাতাসের মত।
হাংঝৌ এশিয়ান গেমসে ৫০০০ মিটার দৌড়ে সোনা জেতেন পারুল চৌধুরী। অন্যদিকে, আর প্রজ্ঞানন্দ দাবার বিশ্বকাপ ফাইনালে পৌঁছন। মাত্র ১৮ বছর বয়সেই এই রেকর্ড গড়েন তিনি।
এবার আসা যাক ক্রিকেটে। ভারতের বুকে অনুষ্ঠিত হওয়া শেষ একদিনের ক্রিকেট বিশ্বকাপের মঞ্চেই নিজের একদিনের ক্রিকেট কেরিয়ারের ৫০ তম শতরানটি করেন বিরাট কোহলি। গোটা টুর্নামেন্টে ৩টি শতরান করেন বিরাট। অল্পের জন্য ফসকান আরও ২টি সেঞ্চুরি। তবে ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হার ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীদের জন্য ছিল রীতিমতো বেদনাদায়ক।
গোটা টুর্নামেন্টে একমাত্র অপরাজিত দল হিসেবে ফাইনালে পৌঁছয় ভারত। যদিও সেখানে যোগ্য দল হিসেবে জয়ী হন অজিরা।
বিশ্বকাপ ট্রফি না জিতলেও, বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান প্রাপকের তালিকার প্রথম এবং দুইয়ে থেকেছেন বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মা। ২০২৩ বিশ্বকাপে সব থেকে বেশি উইকেট নেওয়ার খেতাব গিয়েছে মহম্মদ শামির দখলে।
এবার আসি ফুটবলে। ভারতে অনুষ্ঠিত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে কুয়েতকে টাইব্রেকারে ৫-৪ গোলে হারিয়ে জয় ছিনিয়ে আনে ভারতীয় ফুটবল দল। জুন মাসে ওডিশার ভুবনেশ্বরে ইন্টার-কন্টিনেন্টাল কাপের ফাইনালে লেবাননকে হারিয়ে ট্রফি জেতে ভারত। সেপ্টেম্বর মাসে থাইল্যান্ডে কিংগস কাপ খেলতে যায় ভারত। সেমিফাইনালে প্রবল শক্তিশালী ইরাকের বিরুদ্ধে নির্ধারিত সময়ে ২-২ গোলে ম্যাচ অমীমাংশিত রাখেন সুনীল ছেত্রীরা। যদিও টাইব্রেকারে সেই ম্যাচ জিতে যায় ইরাক।
২০২৬ পুরুষ ফুটবল বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের গ্রুপ স্তরের ম্যাচেও কুয়েতের মাঠে কুয়েতকে ১-০ গোলে পরাজিত করে ভারত। যদিও ঘরের মাঠে কাতারের কাছে ৩-০ গোলে পরাস্ত হয় টিম ইন্ডিয়া।
Comments :0