গাজা ভূখণ্ডের রাফা শহরে বিমানহানা শুরু করল ইজরায়েল। আল জাজিরা জানাচ্ছে, রাফায় বোমাবর্ষণে ৫ শিশু সহ ১১জন প্রাণ হারিয়েছেন এখনও অবধি। বিশেষজ্ঞদের দাবি, মিশর সীমান্তবর্তী রাফায় অভিযান শুরু করতে চলেছে ইজরায়েলী সেনা। তার প্রস্তুতি হিসেবেই বোমাবর্ষণ শুরু হয়েছে।
এতদিন গোটা গাজা ভূখণ্ডে তান্ডব চালালেও রাফা শহরে অভিযান চালায়নি ইজরায়েল। তারফলে গোটা ভূখণ্ডের ১৫ লক্ষের বেশি মানুষ যুদ্ধে ঘরবাড়ি হারিয়ে রাফায় আশ্রয় নিয়েছে। এখন রাফায় অভিযান শুরু হলে মানবাধিকার সঙ্কট তৈরি হতে পারে। একই আশঙ্কা প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রসংঘও।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একটা অংশ মনে করাচ্ছেন, মিশরের সঙ্গে ইজরায়েলের চুক্তি অনুযায়ী, মিশর সীমান্তের প্রবেশপথ রাফায় সামরিক অভিযান চালাতে পারবে না ইজরায়েল। চুক্তি অনুসারে, মিশর এবং ইজরায়েল সীমান্তের দুইপারে কত সংখ্যক সশস্ত্র জওয়ান মোতায়েন করছে একপক্ষ, তাও অন্যপক্ষকে জানাতে হবে। এখন দেখার, সেই চুক্তি লঙ্ঘন করে রাফায় অভিযান চালায় কিনা ইজরায়েল। অভিযান চালালে মিশরের কি প্রতিক্রিয়া হবে, সেদিকেও নজর গোটা বিশ্বের।
রাফা অভিযানের আবহে হতাশা প্রকাশ করেছে কাতার। মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটি ইজরায়েল এবং হামাসের মাঝে মধ্যস্থতাকরীর ভূমিকা নিচ্ছে। গাজায় শান্তি ফেরাতে প্রয়োজন যুদ্ধবিরতি। যুদ্ধবিরতির সম্ভাব্য প্রস্তাব এবং সেই সংক্রান্ত দাবি নিয়ে মিশর, ইজরায়েল, কাতার, হামাস এবং আমেরিকার মধ্যে কয়েকদফা বৈঠক হয়েছে। শান্তিচুক্তির মূল শর্ত একদিকে যেমন হামাসকে ইজরায়েলী পণবন্দীদের ফেরাতে হবে, তেমনই ইজরায়েল রাফায় অভিযান শুরু করতে পারবে না। সেই চুক্তির সম্ভাবনা ভেস্তে যাওয়ার দোড়গোড়ায় এসে দাঁড়ানোয় কাতার হতাশা প্রকাশ করে জানিয়েছে, ‘‘কোনও কোনও পক্ষ শান্তিচুক্তি প্রক্রিয়াকে নিজেদের ক্ষুদ্র স্বার্থে ব্যবহার করছে।’’
গাজার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী, ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধে ৩৩,৮৯৯ জন প্যালেস্তিনীয় প্রাণ হারিয়েছেন। আহতের সংখ্যা ৭৬,৬৬৪। নিহতদের সিংহভাগ মহিলা এবং শিশু।
ইতিমধ্যে রাষ্ট্রসংঘে পূর্ণ সদস্যের মর্যাদা চেয়ে আবেদন জানিয়েছে প্যালেস্তাইন। শুক্রবার রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এই ইস্যুতে ভোট হবে।
Comments :0