অনির্বাণ দে
ঈদে বাড়ি ফিরেছে গ্রামের ছেলেরা। এবার গ্রামেই চাই কাজ।
এই দাবি শক্তিশালী হচ্ছে মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রে সিপিআই(এম) প্রার্থী মহম্মদ সেলিমের প্রচারে। মানুষের দাবি জুড়ে জুড়ে কাঁধে কাঁধে মিলিয়ে গ্রামে গ্রামে প্রচারে শামিল সিপিআই(এম) এবং কংগ্রেসের নেতাকর্মীরা। একই ছবি ধরে পড়ছে প্রার্থীকে নিয়ে প্রচারেও।
সিপিআই(এম) প্রচারেও তুলেছে পরিযাবী শ্রমিকদের দাবি। ছবিতে ব্ল্যাকবোর্ড। কাঁচা হাতে লেখা, ‘উৎসবে বাবার বাড়ি আসা হয় না’। তারপরই সিপিআই(এম) বলছে, ‘অন্য রাজ্যে নয়, কাজ হবে এখানেই। নিজের শহরে নিজের গ্রামে। নিজের হক্, নিজের দমে।’
শনিবার রানিনগর এক নম্বর ব্লকের পানিপিয়া মোড়ে শুরু হয় প্রচার। সেখান থেকে ডোমকলের ধূলাউড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ঘোরেন সিপিআই(এম) প্রার্থী। সঙ্গে ছিলেন সিপিআই(এম) এবং কংগ্রেসের নেতাকর্মীরা।
ধূলাউড়ির মাঝেরপাড়া, রঘুনাথপুর যেখানেই সেলিম গিয়েছেন পেয়েছেন মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া। এদিন রানিনগর ২ নম্বর ব্লকের ডিএন ক্লাব থেকে শুরু হয় প্রচার মিছিল। এলাকায় আর চলবে না তৃণমুলের সন্ত্রাস। বরদাস্ত করা হবে না বিজেপি’র ধর্মের নামে রাজনীতি। পথে নেমে জানিয়েছেন গ্রামের মানুষ।
ডিএনক্লাব থেকে শিয়ালমারি, বাবলোবোনা গাড়িতে যাওয়ার কতাহ থাকলেও মানুষ এসে জুড়েছেন মিছলে। তাই টানা পথ হেঁটেছেন সিপিআই(এম) প্রার্থীও। দেবীপুর, চাঁদবাটি বারবার থমকে গিয়েছে প্রচার মিছিল। কোথাও ফুল। কোথাও শরবত নিয়ে অপেক্ষা করেছেন মহিলারা। প্রচার মিছিল দেওয়ানপাড়ায় এসে পৌঁছালে কার্যত সমাবেশের চেহারা নেয়। সেলিমের সঙ্গে বক্তব্য রাখেন কংগ্রেস নেত্রী মমতাজ বেহম হীরা, রানিনগর-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কুদ্দুস আলি। এদিন প্রচারে ছিলেন সিপিআই(এম) নেতা জামাল হোসেন, ইকবাল হক।
সন্ত্রাস কবলিতে দাঁড়াকাটি, বোরাকুলি এলাকাতেও এদিন বিশাল মিছিল হয়। রাজ্যের সরকার কৃষকদের ফসলের ন্যায্য দামের ব্যবস্থা করছে না। শনিবার এই কথা শোনা গিয়েছে রানিনগর এক ও দুই নম্বর ব্লক এলাকায় প্রচারের ফাঁকেও। কৃষকরা জানিয়েছেন, ফসলের নেই ন্যায্য দাম। চাষ অলাভজনক হওয়ায় পরিযায়ী শ্রমিক হয়ে ভিনরাজ্যে পাড়ি দিতে হচ্ছে গ্রামের ছেলেদের। ভিনরাজ্যের বাসিন্দা হচ্ছে বহু পরিবার। দাবি জানিয়েছেন এই অবস্থার বদল চাই।
Comments :0