পহেলগাম সন্ত্রাসবাদী ঘটনায় যারা যুক্ত তাদের খুঁজে বের করে কঠোর শাস্তি দেবে ভারত সরকার। বিহারের মধুবনিতে একটি সরকারি অনুষ্ঠানে বৃহস্পতিবার একথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, পহেলগাম ঘটনায় গোটা দেশ শোকস্তব্ধ।
মোদী বলেন, ‘‘শোকগ্রস্থ পরিবার গুলোর পাশে গোটা দেশ আছে। যারা আহত হয়েছেন তারা যাতে সঠিক চিকিৎসা পায় তার জন্য সরকার চেষ্টা চলাচ্ছে। কার্গিল থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত শোকস্তব্ধ সবাই। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তারা শুধুমাত্র পর্যটকদের ওপর আক্রমণ করেনি। ভারতের আত্মাকে তারা আক্রমণ করেছে।’’
পহেলগাম ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানকে সরাসরি নিশানা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। পহেলগামে সন্ত্রাসবাদী হামালার জেরে ওয়াঘা-আট্টারি সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। এছাড়াও পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু নদের জলচুক্তিও বাতিল করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে বুধবার দিল্লিতে প্রাধনমন্ত্রীর বাসবভনে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের শেষে। তবে, জলচুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত কিভাবে কার্যকর হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। বৈঠকের শেষ বিদেশমন্ত্রক থেকে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের নাগরিকদের এদেশে আসা বন্ধ করতে ‘সার্ক’ ভিসাও বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যাঁদের এই ভিসা দেওয়া হয়েছিল তাও বাতিল করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদীর সভাপতিত্বে নিরাপত্তা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার কমিটির বৈঠকের শেষে বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে সার্ক ভিসা নিয়ে যে সমস্ত পাকিস্তানের নাগরিক এদেশে রয়েছেন তাঁদের ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ভারতে ছড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও দিল্লিতে থাকা পাকিস্তানের দূতাবাসে কর্তব্যরত সামরিক উপদেষ্টাদের অবাঞ্ছিত বলে ঘোষণা করে এক সপ্তাহের মধ্যে ভারত ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়ার কথা এদিন রাতে জানিয়েছে বিদেশমন্ত্রক। পাশাপাশি দিল্লিতে পাক হাইকমিশনে কর্মী সংখ্যা ৫৫ থেকে কমিয়ে ৩০-এ করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভারতও ইসলামাবাদে হাইকমিশনের দপ্তরে কর্মীর সংখ্যা কমিয়ে ৩০ করবে বলে এদিন জানানো হয়েছে। সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এই বৈঠক থেকে। প্রাধনমন্ত্রীর বাসভবনে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে চলে এই বৈঠক। তা শুরু হয় সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ এবং শেষ হয় রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
মঙ্গলবার জম্মু ও কাশ্মীরে পহেলগামে সন্ত্রাসবাদী হামলায় ২৬ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ২৫ জনই পর্যটক। তাঁদের মধ্যে দু’জন বাঙালি। সন্ত্রাসবাদীদের গুলিতে আহত হয়েছেন ১৭ জন। তাঁদের মধ্যে একজন হলেন শবরি গুহ। তিনি কলকাতার বাসিন্দা। এই হামলার দায় স্বীকার করেছে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার ছায়া সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ)।
Modi
পহেলগামের দোষীদের কঠোর শাস্তি হবে : প্রধানমন্ত্রী

×
Comments :0