Chalsa

তৃণমূল না করায় বন্ধ পানীয় জল, ধিক্কার বিরোধীদের

জেলা

দীপশুভ্র সান্যাল- জলপাইগুড়ি


লক্ষ্মীর ভাণ্ডার যাঁরা পান তাঁদের নিয়ে পদযাত্রা হবে। পদযাত্রায় যে বা যাঁরা আসবেন না তাঁদের যদি টাকা পাওয়া বন্ধ হয়ে যায় তার জন্য কিন্তু আমি দায়ী থাকব না। এটা সরকারের নির্দেশ। প্রত্যেক ওয়ার্ডে এই মিছিল করতেই হবে। এই মর্মে তৃণমুল কাউন্সিলের হোয়াইটঅ্যাপের মেসেজ ভাইরাল হয় গত ১৯ এপ্রিল প্রথম দফা নির্বাচনের ৪৮ ঘন্টা আগে। এবার তৃণমুল না করায় বন্ধ পানীয় জল সরবরাহ। অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য জলপাইগুড়িতে। ঘটনা ডুয়ার্সের চালসার টিয়া বন সংলগ্ন এলাকার। বিরোধীদের জল না দেওয়ার ওঠা অভিযোগকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা জলপাইগুড়িতে। 
স্থানীয়রা বলছেন, রাজনৈতিক রং দেখে তৃষ্ণা নিবারণের ব্যাবস্থা তৃণমূলের। অভিযোগ বিরোধী রাজনীতি করায় তীব্র দাবাদহের মধ্যেও মহল্লায় দাঁড়ায় না জলের সঙ্কট মেটাতে আসা জলের গাড়ি। এমনই অভিযোগ করছেন জলপাইগুড়ি জেলার মেটেলি ব্লকের মঙ্গলবাড়ি বস্তির অধিবাসী প্রধান জ্যোতি আশ্রম পাড়ার ১৯ নম্বর লাইনে বাসিন্দা দুখীরাম মাহালি। তিনি বলেন, রাজনৈতিক রং দেখে সরকারি ভাবে বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের গাড়ি যাচ্ছে, অথচ এই ১৯ নম্বর লাইনে বসবাসকারী ৩২টি অধিবাসী পরিবার সেই পানীয় জল পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে’’।
সুজয় ওরাও অভিযোগ করে বলেন, এই বিষয়ে খোজ নিতে কিছটা এগিয়ে গিয়ে মালোদাস পাড়ায় নজরে আসে পানীয় জলের গাড়িকে ঘিরে বস্তিবাসীদের জল সংগ্রহের দৃশ্য। ১৯ নম্বর লাইনের গৃহবধূ পুষ্পা ওরাও জানান, ‘‘সামনের লাইনে জল দিচ্ছে কিন্তু আমাদের এখানে দেয় না, আমাদের এখানে যে একটি কল আছে তার জল লাল হলেও সেটাই আমাদের ভরসা’’।
চা বাগান শ্রমিকদের বসবাস গরুমারা জঙ্গল ঘেঁষা এই মঙ্গল বাড়ি ১৯ নম্বর লাইনে, স্থানিয় বাসিন্দা সঞ্জয় কুজুর নির্দ্ধিধায় অভিযোগের সুরে বলেন, ‘‘জলের গাড়ি যাচ্ছে মালদাস পাড়ায়, কারণ ওরা তৃণমূল করে, আমরা সিপিআই(এম) আর বিরোধী রাজনীতি করি তাই আমাদের লাইনে জলের গাড়ি দাড়ায় না’’।
সিপিআই(এম) সমর্থক পরিবারগুলির দাবি, ‘বিরোধী রাজনৈতিক দল করার জন্য আমাদের পানীয় জল থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে।

ঘটনা প্রসঙ্গে সিপিআই(এম)’র জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য প্রদীপ দে বলেন,‘‘শিক্ষা থেকে সাস্থ্য সর্ব ক্ষেত্রেই এই তৃণমুল পরিচালিত রাজ্যে সরকার ব্যার্থ, এখন রাজনৈতিক রং দেখে পানীয় জল সরবরাহ করছে, এতটাই অমানবিক এই সরকার, ধিক্কার জানাই ধিক্কার জানাই এই ঘটনাকে’’। তিনি বলেন, তবে মানুষ জাগছে, আর খুব বেশিদিন এমনটা চলবে না, মানুষ তার অধিকার বুঝে নেবে।

এই প্রসঙ্গে টেলিফোনে মেটেলি ব্লকের বিডিও অভিনন্দন ঘোষ জানান, ‘‘এমন কোনো ঘটনা নেই, জলের গাড়ি একটি নির্দিষ্ট জায়গায় দাড়িয়ে জল দিচ্ছে। তবে ওটা পঞ্চায়েত না পিএইচই’র তরফে জল দেওয়া হচ্ছে’’। সবাইকে জল দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেছেন বিডিও।

Comments :0

Login to leave a comment