স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সাল থেকে ধাপে ধাপে সাজিদ আলম তার আত্মীয় নাইয়ার আলমের কাছ থেকে কয়েকজনের চাকরি দেওয়ার নাম করে ১১ লক্ষ টাকা নেয়। এদিন নাইয়ার আলম জানান, সাজিদ আলম কয়েক দফায় আমার কাছ থেকে আমাদের কয়েকজন আত্মীয়কে চাকরি দেবার নাম করে প্রলোভন দেখায়। একাধিকবার প্রলোভন দেখানোর পর আমরা তার প্রস্তাবে সম্মত হয়ে তাকে টাকা দিয়েছি। কিন্তু তিনি আমাদের মহকুমা শাসকের দপ্তরের আধিকারিকের সই নকল করে অর্ডার কপি দেয় এমনকি উত্তর দিনাজপুর জেলা শাসকের দপ্তরের এস্টাবলিশমেন্ট সেকশনের নকল অর্ডার কপি আমাদের দেয়। ওই অর্ডার কপি নিয়ে আমি যখন ইসলামপুর মহকুমা শাসকের দপ্তরে খোঁজখবর নিয়ে বুঝতে পারি যে আমরা প্রতারিত হয়েছি।
সাজিদ আলম আমাদের আত্মীয় হওয়ায় বিষয়টি আত্মীয় মহলে জানানো হয় এবং টাকা আদায়ের জন্য চাপ দিলে তিনি আমাদের কুড়ি হাজার টাকা ফেরত দেন এবং গতবছরের ১৩ ডিসেম্বর এফিডেভিট করে অঙ্গীকার করেন যে আমাদের অর্থ তিনি দ্রুততার সাথে ফেরত দেবেন। কিন্তু সেই টাকা ফেরানোর কোন নাম না করায় তিন দিন আগে ইসলামপুর থানা অভিযোগ দায়ের করি।
সরকারি আইনজীবী সঞ্জয় ভাওয়াল জানান, চাকরি দেবার নাম করে টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে সাজিদ আলম কে গ্রেফতার করে পুলিশ এবং এদিন তাকে ইসলামপুর মহাকুমা আদালতে তুলে সাত দিনের পুলিশি হেপাজতের আবেদন জানায়। কিন্তু আদালত তিন দিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করে।
Comments :0