Fake Passport

জাল পাসপোর্ট কাণ্ডে পুলিশের জালে আরও এক

রাজ্য

জাল নথি তৈরি চক্রের আরও একজনকে গ্রেপ্তার করল বারাসত থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম দিবাকর বিশ্বাস। এই চক্রে ধৃত সমীর দাসকে জেরা করেই দিবাকরের নাম জানতে পারে পুলিশ। এরপরেই বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে খড়দহের রহড়া থেকে দিবাকরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এই নিয়ে জাল নথি তৈরি চক্রের চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার ধৃতকে বারাসত আদালতে তোলা হলে পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ  দিয়েছেন বিচারক। এদেশে বসবাসের জন্য জাল নথি ব্যবহার করে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভারতীয় পরিচয়পত্র বানিয়ে দিত দিবাকর সেই বিষয়ে পুলিশ জানতে পেরেছে। মূলত ভোটার, প্যান কার্ড সহ জন্মের শংসাপত্র বানিয়ে দিত সে।
মেডিকেল ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়া বাংলাদেশি নাগরিক এবং অনুপ্রবেশকারীদের এদেশে বসবাসের জন্য জাল নথি তৈরি চক্রের তদন্ত চালিয়ে দুদিন আগেই বারাসতের নবপল্লি থেকে সমীর দাসকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এবার তাঁর এক সহযোগীও ধরা পড়ল পুলিশের জালে। পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে সমীর এবং দিবাকরের বাড়ি ছিল বাংলাদেশের চট্টগ্রামের একই এলাকায়। ফলে দুজনেই পরস্পরের পরিচিত। দিবাকর এদেশে চলে আসে ১৯৮৬ সালে। বাংলাদেশে দিবাকরের বহু পরিচিত এবং আত্মীয় স্বজন রয়েছে। অন্যদিকে ধৃত সমীরেরও বাংলাদেশের লোকজনদের সঙ্গে ভালো যোগ রয়েছে। দিবাকর এদেশে এসে অশোকনগরে থাকতে শুরু করেছিল। ল-ক্লার্কের লাইসেন্স বানিয়ে দিবাকর বারাসত আদালতে কাজ করত বলেও জানতে পেরেছে পুলিশ। পরবর্তীতে অবশ্য রহড়ায় একটি ফ্ল্যাট নিয়ে থাকছিল দিবাকর।
চিকিৎসার জন্য এদেশে আসার পর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়া বাংলাদেশি নাগরিকরাই ছিলেন মূলত সমীর দিবাকরের ক্লায়েন্ট। কে, কখন মেডিকেল নিয়ে এদেশে আসছেন বা বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের সঙ্গে দুজনের যোগাযোগ ছিল। তাদের এদেশে থাকার ব্যবস্থা করত সমীর এমনটাই খবর পুলিশ সূত্রে। সমিরই বাংলাদেশির জন্য জাল নথি, ভুয়ো ঠিকানা ব্যবহার করে এদেশের আধার কার্ড তৈরির জন্য পাঠাত কৌশিক সাইবার ক্যাফেতে। বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য এদেশের ভোটার এবং প্যান কার্ড করানোর জন্য একটা নির্দিষ্ট ঠিকানার প্রয়োজন। সমীরের আত্মীয়ের বাড়ির ঠিকানা গুলোকে লাইসেন্স প্রাপ্ত ল-ক্লার্ক হিসেবে দিবাকর খুব সহজেই বারাসত কোর্ট থেকে এফিড - ওফিড করিয়ে দিত। এর পাশাপাশি জাল নথি ব্যবহার করে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভারতীয় ভোটার,প্যান কার্ড বানিয়ে দিত দিবাকর বিশ্বাস। সমীর দাসকে জেরা করেই পুলিশ এই চক্রে যুক্ত দিবাকরের রহড়ার ফ্ল্যাটে হানা দেয় বারাসত থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে কয়েক ঘণ্টা জেরায় বেশ কিছু অসঙ্গতি ধরা পরে। তারপর পরেই দিবাকরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এই প্রসঙ্গে বারাসত পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার প্রতীক্ষা ঝাঁড়খড়িয়া বলেন, ধৃত সমীর দাসের কাছ থেকেই দিবাকরের নাম জানা গেছে। জাল নথি তৈরি সংক্রান্ত বিষয়ে সমীরের সঙ্গে দিবাকরের ফোন চ্যাট ও পাওয়া গিয়েছে। ধৃতের মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সমীর এবং দিবাকরকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করে জাল নথি তৈরি চক্রে আরও তথ্য জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
 

Comments :0

Login to leave a comment