বিজেপি বা প্রধানমন্ত্রী যারই সমালোচনা নিতে পারেন না সে কথা প্রায় কারোরই অজানা নয়। সমালোচনা করলেই বিজেপির নেতা কর্মীদের রোষের মুখে পড়তে হয়। তবে বিরোধী কোনও রাজনৈতিক নেতার মুখ থেকে সমালোচনা বের হলে হয় তার বাড়িতে ইডি, নয় আয়কর দপ্তর, নয় সিবিআই হানা দেবে। না হয় জুটবে দেশ বিরোধী তকমা। এই সমস্ত কিছু না হলে তার বিরুদ্ধে আসামে কোনও থানায় এফআইআর দায়ের হবে এবং আসাম পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করবে।
আসাম বলা হল এই কারণে বৃহষ্পতিবার কংগ্রেস নেতা পবন খেরাকে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করে আসাম পুলিশ। এর আগে গুজরাটের বেদগামের বিধায়ক জিগ্নেশ মেওয়ানিকেও গ্রেপ্তার করেছিল আসাম পুলিশ। এদের দুজনেরই অপরাধ একটাই এরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সমালোচনা করেছিলেন। আসাম একটি বিজেপি পরিচালিত রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রী হলেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা। নিজের রাজ্যে তিনি সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের কাজে চালিয়ে যাচ্ছেন। উন্নয়ন কর্মসংস্থান থেকে কয়েক শত যোজন দুরে গিয়ে তিনি জাতিভিত্তিক বিভাজনের খেলায় মত্ত। ত্রিপুরা নির্বাচনের আগে নিজের রাজ্যের সমস্ত কাজ বাদ রেখে সেখানেই পড়েছিলেন একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। আর সর্বপরি এখন তার কাজ হয়েছে কোথায় কোন নেতা বিজেপি ও প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করলেন তাদের ধরতে নিজের পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করা।
বৃহষ্পতিবার দিল্লির ইন্দিরা গান্ধি আন্তর্জাতিক (IGI) বিমানবন্দরে দেখা গেল দিল্লি পুলিশের সাহায্যে রায়পুরগামী বিমানে ওঠার আগে কংগ্রেস নেতা পবন খেরাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাচ্ছে আসাম পুলিশ। কারণ তিনি আদানি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করেছিলেন। তিনি ‘বলেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নরসিমহা রাও ও অটল বিহারি বাজপেয়ি যদি জয়েন্ট পার্লামেন্টারি কমিটি গঠন করতে পারে। তাহলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র গৌতম দাস মোদী সরি দামোদর দাস মোদীর সমস্যা কোথায়।’ এই গৌতম দাস মোদী নিয়েই যত সমস্যা।
যদিও এদিনই সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন পান খেরা। আদালতে কংগ্রেসের আইনজীবী বলেন মুখ ফসকে পবন খেরা নরেন্দ্র গৌতম দাস মোদী বলেছিলেন। তার জন্য পবন ক্ষমাও চেয়েছেন। এই দাবি মেনে নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ তার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।
Comments :0