সবংয় থেকে দাসপুর, জীবনের জন্য দৃপ্ত মিছিল
সতেরো মাস বন্ধ কাজ। মিলছে না একশো দিনের বকেয়া মজুরিও। নীরব প্রশাসন, তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা। সোমবার নির্মম নীরবতার দেওয়াল ভাঙতে সবংয়ের বিডিও দপ্তর ঘেরাও করলেন খেতমজুররা। কাঁধে কাঁধ মেলালেন কৃষক এবং শ্রমজীবী অন্য অংশের জনতা।
দাসপুরের কুলটিকরী থেকে শ্রীবরা, প্রায় ৬ কিলোমিটার রাস্তায় এদিন মিছিল হয়েছে সিপিআই(এম)’র ডাকে। একশো দিনের কাজ, মজুরি থেকে জনতার প্রতিদিনের একই দাবি নিয়ে রূপনারায়ণ নদীর ভাঙা পাড় ধরে লাল ঝান্ডার দৃপ্ত মিছিল হয়েছে। অংশ নেন পার্টির পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক সুশান্ত ঘোষ, পার্টিনেতা তন্ময় ভট্টাচার্য।
‘চোর তাড়াও বাংলা বাঁচাও, ডাকাত তাড়াও ভারত বাঁচাও’ স্লোগানে ও জনগণের পঞ্চায়েত গড়ার শপথে সবং বাজারে খেতমজুর, কৃষক, শ্রমিকদের বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে সবংয়ে। স্লোগান ওঠে, ‘আবাস যোজনা ও একশো দিনের কাজের লুটে শাস্তি কেন গরিবকে’।
জব কার্ড হোল্ডারদের কাজ, একশ দিনের কাজের বকেয়া মজুরি অবিলম্বে মেটানোর দাবি সহ বুথ ভিত্তিক সরকারি বরাদ্দ টাকার হিসেব চেয়ে সবং বিডিও দপ্তর অভিযান হয়। ব্লক দপ্তর ঘেরাও করে তুমুল বিক্ষোভে শামিল হলেন খেতমজুররা।
দীর্ঘ সতের মাস কাজ বন্ধ। তার আগের একশো দিনের কাজের বকেয়া মজুরি চেয়ে বারে বারে পঞ্চায়েত দপ্তর সহ ব্লক দপ্তরে মানুষ হন্যে হয়ে ঘুরলেও প্রশাসন, রাজ্য সরকার, জনপ্রতিনিধিরা নীরব। সারা ভারত খেতমজুর ইউনিয়নের ডাকে সবং ব্লক দপ্তর অভিযান হয় এই নির্মম আচরণের প্রতিবাদে। বিক্ষোভ অবস্থানে উত্তাল হয় এলাকা। জনরোষের ভয়ে ব্লক দপ্তরের গেটে তালা লাগিয়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
খেতমজুরদের এই অভিযানে শামিল হেন শ্রমিক ও কৃষকরাও। দাবি ওঠে, বোরো চাষের উৎপাদিত ফসল ন্যায্য দামে সরকারি বন্দোবস্তে কেনার ব্যবস্থা সরকারকেই করতে হবে। ধানের প্রতি কুইন্টাল মূল্য ন্যূনতম ২৫৫০ টাকা চালু করতে হবে। মিছিল থেকে স্লোগান ওঠে ‘চোর তাড়াও গ্রাম বাঁচাও’, ওঠে জনগণের পঞ্চায়েত গড়ে তোলার আহ্বান।
সবং বাজার জুড়ে বিক্ষোভ মিছিল সংগঠিত হয়। বিডিও দপ্তর অভিমুখে সেই মিছিল গিয়ে ক্ষোভের আগুনে আছড়ে পড়ে। বিডিও দপ্তর ঘেরাও করে চলে বিক্ষোভ। বিক্ষোভ সভায় বক্তব্য রাখেন, ক্ষেতমজুর সংগঠনের জেলা সভাপতি অমলেশ বোস, কৃষক নেতা হরেকৃষ্ণ সামন্ত, সিআইটিইউ জেলা সম্পাদক গোপাল প্রামানিক।
Comments :0