Potato Price Hike

ব্যবসায়ীদের ধর্মঘটে আলুর দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা

রাজ্য

আলু ব্যবসায়ীদের কর্মবিরতিতে বড় আকারে হিমঘর থেকে আলু বের হচ্ছে না। স্থানীয়ভাবে কিছু কিছু  আলু হিমঘর থেকে বেরালেও তা লোকাল বাজারে বিক্রি হচ্ছে। যদি এমনটা চলতে থাকে তাহলে  কলকাতা সহ শহরের বাজারে আলুর যোগান বড় আকারে ঘাটতি হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মেমারীর এক আলু ব্যবসায়ী জানিয়েছেন আলু বাইরের রাজ্যে যেতে সরকার যেভাবে বাধা দিচ্ছে এটা ক্রেতাদের স্বার্থে কতটা লাভ হচ্ছে জানিনা তবে পুলিশের পকেট ভরছে। পূর্ব বর্ধমান, বাঁকুড়া হয়ে অন্য রাজ্যে যে আলু যাচ্ছে সেখানে পুলিশ গাড়ি আটকে মোটা টাকা নিয়ে সেই গাড়ি ২থেকে ৩দিন পর ছেড়ে দিচ্ছে। এতে ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হচ্ছে। এই তোলার টাকা কোথায় যাচ্ছে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন আলু ব্যবসায়ীরা। আলু চাষীরা আশঙ্কা করছেন যদি দীর্ঘ সময় ধরে কর্মবিরতি চলতে থাকে যার সঙ্গে হিমঘর মালিকদের যোগ আছে তাহলে আলু নিয়ে পরবর্তী সময়ে সমস্যায় পড়বেন কৃষকরা। চাহিদা মতো আলু যদি প্রতিদিন না বেরোই তাহলে হিমঘরে আলু জমে থাকবে। 
উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ যারা হিমঘর থেকে আলু বার করে বাজারে সরবরাহ করেন তাদের সমস্ত প্রতিষ্ঠানই কর্মবিরতিতে সামিল হয়েছেন বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। রাজ্যের অধিকাংশ হিমঘর থেকে আলু বের হয় নি সোমবার। যদিও সিঙ্গুরের রতনপুরে বেশ কিছু আলু ব্যবসার প্রতিষ্টান আজ খোলা আছে। তাদের ব্যবসায়িক কাজকর্ম চলছে।
এদিন আলুর দাম খুচরো বাজারে বর্ধমান শহরে ৩৫ টাকা কিলো দরে বিক্রি হয়েছে। যদি লাগাতার কর্মবিরতি চলতেই থাকে তাহলে আলুর দাম চড়া হারে বাড়বে। সমস্যায় পড়বেন ক্রেতারা। সোমবার থেকে বাজারে আলু উধাও। বাজারে আলুর কৃত্তিম সঙ্কটের জন্য আলু ব্যবসায়ীরা সরকারকেই দায়ী করছে। রাজ্যের বর্ডার ক্রশ না করতে দেবার কোন লিখিত অর্ডার না দেখিয়ে আলুর গাড়িগুলিকে আটকে রাখা হচ্ছে। তারপর তোলাবাজ, পুলিশ রফা করে সেই আলুর গাড়ি টাকা নিয়ে ছেড়ে দিচ্ছে এমনও অভিযোগও সামনে এসেছে। খুচরো বাজারের বিক্রেতারা জানিয়েছেন মঙ্গলবার থেকেই আলুর দাম ৪০ টাকা কিলো দাড়াতে পারে। সম মিলিয়ে আলু ব্যবসায়ী ও সরকারের মধ্যে টানা পোড়েনে ক্রেতারা পড়বেন চরম সঙ্কটে। আলু ব্যবসায়ীদের দাবি, আমরা যে বাজারে আলু সরবরাহের কাজ করি সেটা আজ থেকে বন্ধ আছে কর্ম বিরতির কারণে। সারা রাজ্য প্রায় ৮০হাজার ব্যবসায়ী এই কর্মবিরতিতে সামিল হয়েছেন।
 

Comments :0

Login to leave a comment