DURAND CUP 2025

মরশুমের শুরুতেই দেখা মিলছে মশালের গনগনে আঁচের

খেলা

ছবি সৌজন্য - ইস্টবেঙ্গল এফসি

গত বুধবার ডুরান্ড কাপের প্রথম ম্যাচে ফাইভ স্টার পারফরম্যান্সে নজর কেড়েছে ইস্টবেঙ্গল। সাউথ ইউনাইটেড এফসিকে ৫গোলের মালা পড়িয়েছে লাল হলুদ। অস্কার ব্রুজনের দল বুঝিয়ে দিয়েছে যে এবার অন্য এক ইস্টবেঙ্গলকে দেখা যাবে। বুধবারের ম্যাচে প্রথম একাদশে দুই বিদেশী সাউল ও রশিদকে দিয়েই শুরু করেছিল ইস্টবেঙ্গল। প্রথম ম্যাচেই নিজের জাত চিনিয়েছেন রশিদ। প্যালেস্টাইনের এই মিডিও মাঝমাঠকে নিয়ন্ত্রণ করছিলেন। সুঠাম দেহের অধিকারী হওয়ায় নিজের শারীরিক সক্ষমতাকে কাজে লাগাচ্ছিলেন রশিদ। সঙ্গে ছিল তার বেশ কিছু ডিফেন্স চেরা থ্রু পাস। উইংয়ে এডমান্ড বুধবারের সেরা খেলোয়াড়। ইস্টবেঙ্গলে নিজের দ্বিতীয় ইনিংস শুরুর প্রথম ম্যাচেই নয়নের মনি হয়ে উঠেছেন সমস্ত লাল হলুদ জনতার। ডান দিক থেকে স্কিলের ঝলকানিতে ছিটকে ছিটকে দিচ্ছিলেন একের পর এক প্রতিপক্ষকে। দ্বিতীয় গোলটি এসেছিল তারই সৌজন্যে। আক্রমণাত্মক এই মিডফিল্ডারের সঙ্গে জুটি বাধঁবেন মহেশ নাওরেম। বুধবার একটি অসাধারণ গোল করা ছাড়াও মাঝমাঠে সৃজনশীলতার নিদর্শন গোটা ম্যাচেই রেখেছিলেন মহেশ। প্রথম গোলটি দূরপাল্লার শটে করেছিলেন লাল চুংনুংগা। গত মরশুমে তাকে নিয়ে ওঠা হাজারো প্রশ্ন ও সমালোচনার জবাব যেন এই গোলটির মাধ্যমেই দিলেন চুংনুংগা। প্রতিপক্ষ দল বেশ দুর্বল হওয়ায় পরীক্ষার মুখে খুব বেশি পড়তে হয়নি ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণভাগকে। আনোয়ারের সঙ্গে বুধবার রক্ষণে প্রথমবার জোট বেঁধেছিলেন নবাগত মার্তন্ড। মোটের উপর ভালো পারফরম্যান্স করেছিলেন মার্তন্ড। সগত মরশুমে ঠিক যেখানে শেষ করেছিলেন স্ট্রাইকার ডেভিড। এই মরশুমেও যেন সেখান থেকেই শুরু করলেন তিনি। সঠিক সময়ে গোলের গন্ধে সঠিক জায়গায় পৌঁছে যাওয়ার এই প্রবণতাই তাকে বর্তমানে ভারতের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার বানিয়েছে । এখনও ইস্টবেঙ্গলের আরো দুই নতুন বিদেশী ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার মিগুয়েল ফেরেইরা এবং আর্জেন্টিনিয়ান ডিফেন্ডার কেভিন সিবিয়ে মাঠে নামেননি। তবে বুধবারের ম্যাচের পর তাদের উপর সমর্থকদের প্রত্যাশার চাপ অনেকটাই বেশি থাকবে। ইস্টবেঙ্গল দলকে দেখে বোঝার উপায় নেই যে মাত্র কিছুদিনের অনুশীলন করেই এই পর্যায়ের ফুটবল তারা খেলেছে। তবে প্রত্যেক মরশুমে ভালোভাবে শুরু করেও তাদের শেষটা খুব খারাপভাবেই হচ্ছে গত কয়েক মরশুম ধরে। শক্ত প্রতিপক্ষ ছাড়াও এই মরশুমে অস্কারের হাত ধরে এইবার এই প্রবণতার বিরুদ্ধেও লড়াই করতে হবে ইস্টবেঙ্গল দলকে।    

Comments :0

Login to leave a comment