প্রবীর দাস
‘‘সন্দেশখালিতে আক্রান্ত পুলিশও। যে পুলিশ লাগাতার তৃণমূলের দুষ্কৃতী-দুর্নীতি রাজকে মদত দিয়েছে। পুলিশকে বুঝতে হবে তৃণমূলের হাতে তারাও নিরাপদ নয়।’’
মঙ্গলবার এই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী। সোমবার রাতে সন্দেশখালি থানার শিতুলিয়া পুলিশ ক্যাম্পে দুষ্কৃতীদের একটি দল আচমকা ঢুকে পড়ে। এক পুলিশ কনস্টেবলের মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করে। 
আশঙ্কাজনক অবস্থায় গুরুতর আহত কনস্টেবল কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশ এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৩ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। এলাকায় ছড়িয়েছে আতঙ্ক। 
গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে গিয়ে রক্তাক্ত ও আক্রান্ত হন ইডির তিন আধিকারিক। আক্রান্ত হন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরাও। ইডি যদিও তারপর দীর্ঘসময় আর সন্দেশখালিতে যায়নি। গিয়েছিল ঘটনার ১৯ দিন পর। এদিন ইডি’র দীর্ঘ নিষ্ক্রিয়তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন চক্রবর্তী।
তিনি বলেছেন, ‘‘রাজ্যবাসী চাইছিল ইডি দ্রুত ব্যবস্থা নিক। কিন্তু আধিকারিকরা আক্রান্ত হওয়ার ১৯ দিন বাদে যায় ইডি। এই দীর্ঘ নিষ্ক্রিয়তা কেন?’’
সন্দেশখালির ত্রাস তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান ইডির হেফাজতে। সন্দেশখালির প্রাক্তন বিধায়ক এবং এবারের লোকসভা নির্বাচনে বসিরহাট কেন্দ্রে বামফ্রন্টের সিপিআই(এম) প্রার্থী নিরাপদ সর্দার আগেই অভিযোগ জানিয়েছিলেন যে সন্দেশখালির ৯টি দ্বীপাঞ্চলে এমন অসংখ্য শেখ শাহজাহান তৈরি হয়ে আছে। 
সম্প্রতি বেড়মজুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শেখ শাহজাহান ওরফে ছোট শাহজাহানের বিরুদ্ধে সেখানকার সাধারণ মানুষ অভিযোগ জানিয়েছেন। সিপিআই(এম)'র কর্মীদের উপর সশস্ত্র হামলায় ছোট শাহজাহানের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানানোর পরেও গ্রেপ্তার করা হয়নি অভিযুক্ত উপপ্রধানকে। এবার পুলিশ কর্মী আক্রান্ত হলেন।
আহত কনস্টেবল শিমুলিয়ায় মাল্টিপারপাস সাইক্লোন সেন্টারে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পে বিশ্রামরত অবস্থায় আক্রান্ত হন বলে জানা গিয়েছে।
অভিযোগ, খুলনা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল নেতা সত্যজ্যোতি সান্যালের অনুগামী হামলাকারী দুষ্কৃতীরা। হামলার অভিযোগে আটক করা হয়েছে সিদ্ধার্থ মন্ডল, দিব্যেন্দু দাস, সিন্টু মন্ডলকে।