SFI

বাঁচাতে হবে শিক্ষাকে, সুদীপ্ত স্মরণে সমাবেশ থেকে ডাক ছাত্র নেতৃত্বের

রাজ্য কলকাতা

‘সুদীপ্ত সংগ্রাম চলবে’ এই স্লোগানকে সমানে রেখে প্রয়াত ছাত্র নেতা সুদীপ্ত গুপ্ত স্মরণে টালিগঞ্জ মেট্রো স্টেশন থেকে নেতাজীনগর কলেজ পর্যন্ত মিছিল করলো এসএফআই। মিছিলে পা মেলান যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের সিপিআই(এম) প্রার্থী প্রাক্তন ছাত্র নেতা সৃজন ভট্টাচার্য, প্রতিকুর রহমান, এসএফআই রাজ্য সম্পাদক দেবাঞ্জন দে, রাজ্য সভাপতি প্রনয় কার্য্যী সহ অন্যান্যরা। 

মিছিল শেষে সভায় সৃজন বলেন, ‘‘আমরা রুটি রুজির বিষয়কে সামনে রেখে নির্বাচনে নেমেছি। আজ সুদীপ্ত গুপ্ত যদি এই সমাবেশে বক্তা থাকতেন তাহলে সেও আজ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থানের কথাই বলতো। আমরা আজ সেই কথা বলছি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘মানুষের যেই সমস্যা সেই সব বিষয় গুলো হিন্দু মুসলমানের জিগির তুলে ভুলিয়ে দিতে চাইছে বিজেপি এবং তৃণমূল। কয়েকদিন আগে সিএএ আতঙ্কে নেতাজিনগরের এক যুবক আত্মহত্যা করেছে। আমাদের মনে রাখতে হবে যাদবপুরের প্রাক্তন সাংসদ তৃণমূলের মিমি চক্রবর্তী সিএএ-র বিরুদ্ধে সংসদে যাননি ভোট দিতে। বামপন্থীদের সংসদের অভ্যন্তরের শক্তি কম, কিন্তু তাও সেদিন সব সাংসদ উপস্থিত ছিলেন সিএএ-র বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার জন্য।’’

এসএফআই রাজ্য সম্পাদক দেবাঞ্জন দে বলেন, ‘‘২০১৪ সালে বিজেপি যখন প্রথম ক্ষমতায় আসে এসে বলেছিল জেএনইউ বন্ধ করে দিতে হবে। ক্যাম্পাসের ওপর আক্রমণ। এরাজ্যেও ২০১১ সালেও যখন তৃণমূল ক্ষমতায় আসে তখনও একই ভাবে ক্যাম্পাসের ওপর আক্রমণ নামিয়ে আনা হয়েছিল। ২০১১ সাল থেকে ২০২৪ সাল একটাও কোন ছাত্র সংসদ নির্বাচন সংগঠিত হয়নি এরাজ্যের মাটিতে। নির্বাচনের নোটিশ টাঙানো হলে তা ছিঁড়ে নিয়ে তৃণমূলের পার্টি অফিসে নিয়ে যাওয়া হতো। ইলেকশন নয় সিলেকশন শুরু করে তৃণমূল। গত সাত বছর এরাজ্যে কোন ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়নি।’’

প্রতিকুর রহমান বলেন, ‘‘মোদী বলেছিল স্বচ্ছ ভারত অভিযান। এখন দেখছি স্কুল মুক্ত ভারত তৈরি করতে চাইছে বিজেপি। স্কুল গুলোকে উঠিয়ে দিচ্ছে। আদানি, আম্বানিদের হাতে তুলে দিচ্ছে। রাজ্যেও একই কাজ করছে তৃণমূল। আমাদের লড়াই এই দুইয়ের বিরুদ্ধে। সৃজন ভট্টাচার্য যদি সংসদ যায় তবে রাজ্যের বন্ধ হতে চলে সরকারি স্কুল গুলো যাতে না বন্ধ হয় তা নিয়ে কথা বলবে।’’

২০১৩ সালের ২ এপ্রিল ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে রাজভবন অভিযানের ডাক দিয়েছিল এসএফআই। কলেজ স্ট্রিট থেকে সেই মিছিল রাজভবনের দিকে যেতে থাকে। মিছিলে স্লোগান তুলেছিলেন ছাত্র নেতা সুদীপ্ত গুপ্ত। মিছিল ব্যারিকেড ভাঙলে পুলিশ লাঠি চালায় ছাত্রদের ওপর। আহত হয় অনেকে। গ্রেপ্তার হন সুদীপ্ত সহ বাকিরা। পুলিশ হেপাজতে থাকাকালিন অত্যাচারে মৃত্যু হয় সুদীপ্ত গুপ্ত’র। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি একজন ছাত্র মৃত্যুকে সেই সময় ‘ছোট ঘটনা’ বলে চিহ্নিত করেছিলেন। সমালোচনার ঝড় উঠেছিল রাজ্য জুড়ে। পথে নেমেছিল এসএফআই সহ বামপন্থী ছাত্র সংগঠন গুলো। সেদিনের সেই ঘটনার পর থেকে প্রতিবছর এদিন কর্মসূচি নেওয়া হয় এসএফআই রাজ্য কমিটির পক্ষ থেকে।   

   

Comments :0

Login to leave a comment