২০১০ বিশ্বকাপে যে ফুটবলটা খেলেছিল স্পেন, কাতার বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই লুইস এনরিকের দলের খেলায় সেই ছোঁয়া ফিরল। পাসিং ফুটবল। তাঁর সঙ্গে জুড়েছে গতি-প্রেস। ভয়ঙ্কর ফুটবলে স্রেফ উড়ে গেল কোস্টারিকা। সাত গোলে জিতল লা রোজারা। গোটা ম্যাচে, খেলছিল যেন একটাই দল। স্প্যানিশ আর্মাডা। তাতেই নার্ভাস দেখাল কোস্টারিকার গোলকিপার কেইলর নাভাসকে। বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হারল কোস্টারিকা।
পুরো নব্বই মিনিটে হাজারের কাছাকাছি পাস খেলেছে পেড্রিরা। বল দখল হারালেও মুহূর্তে ছিনিয়ে নিচ্ছিল গাভিরা। গত বছর ইউরোতে স্পেনের খেলার সঙ্গে বিশ্বকাপে কোস্টারিকার বিরুদ্ধে এদিনের স্পেনের খেলায় আমূল পরিবর্তন। এই পরিবর্তনটাই স্পেন সমর্থকদের আশা জাগাচ্ছে।
প্রথমার্ধে ৩-০ গোলে এগিয়ে যায় স্পেন। চার গোলও হতে পারত। পাঁচ মিনিটে সহজ সুযোগটি নষ্ট না হলে। ১১ মিনিটে প্রথম গোলের খাতা খোলেন ড্যান ওলমো। গাভির ‘চিপ’ পাস ধরে চকিত টার্নে ওলমো বল নিজের কাছে নিয়ে বক্সের মাঝে ঢুকে কেইলর নাভাসকে পরাস্ত করেন। ২১ মিনিটে ২-০ করেন মার্কো অ্যাসেন্সিও। দশ মিনিট বাদে তৃতীয় গোলটি ফেরান টোরেসের। পেনাল্টি থেকে এই গোলটি আসে স্পেনের। বাকি ১৪ মিনিটে স্পেনের আক্রমণ বজায় থাকলেও আর ব্যবধান বাড়েনি।
বিরতির পরও নিজেদের খেলায় ছন্দ বজায় রেখেছিল স্পেন। কোস্টারিকার বক্সে স্পেন আক্রমণ শানালেই মনে হচ্ছিল, এই গোল হলো! তবে চারটের বেশি গোল হয়নি। ৫৪ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন টোরেস। স্পেনের যে পারছে, সেই স্কোরশিটে নাম তুললেন। পঞ্চম গোলটি মিডফিল্ডার গাভির। পরিবর্ত হিসাবে নামা দুই ফুটবলার সোলার ও মোরাতা গোলও করলেন। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে প্রথমে সোলার ও ৯২ মিনিটে মোরাতার গোল। সবমিলিয়ে যা দাঁড়ালো, আলথুমামা স্টেডিয়ামে স্পেন বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বাধিক ব্যবধানে জিতে নয়া ইতিহাস লিখল।
Comments :0