Ramnabami

আদালতের নির্দেশ না মেনে হাওড়ায় তৃণমূলের রামনবমীর মিছিল

রাজ্য

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে হাওড়ার বালিতে রামনবমীর মিছিল করলো তৃণমূল। মমতা ব্যানার্জি, অভিষেক ব্যানার্জি, হাওড়ার তৃণমূল প্রার্থী প্রসুন ব্যানার্জির ছবি লাগানে হোর্ডিং নিয়ে চললো মিছিল। মিছিলে ছিলেন যাদবপুরের তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষও। বিজেপি নেতারাও এদিন অস্ত্র হাতে মিছিল করেছে হাওড়াতেই। 

আদালতের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল ২০০ জনের বেশি লোক নিয়ে মিছিল করা যাবে না। কিন্তু এদিন হাওড়ায় দেখা গেলো তার থেকে বেশি লোক নিয়ে মিছিল করলো শাসক দল। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত সোমবার বলেছেন, ২০০ জনকে নিয়ে মিছিল করা জাবে। কোন অস্ত্র নিয়ে মিছিল করা যাবে না। প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে পারবে রাজ্য। গত বছর এই মিছিল থেকেই উত্তজনা ছড়ায় এলাকায়।

উল্লেখ্য সোমবার মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনী জনসভা থেকে বলেছেন, রাম নবমীর দিন অশান্তি তৈরি করার পরিকল্পনা করছে বিজেপি।

প্রশ্ন এখানেই মুখ্যমন্ত্রী নিজে দাবি করছেন রাম নবমীর মিছিল থেকে হিংসা ছড়াতে পারে, তাহলে রাজ্য সরকার সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেজ্ঞ করে ডিভিসন বেঞ্চের দ্বারস্থ হচ্ছে না কেন? গোটা রাজ্যে সেদিন যাতে কোন দাঙ্গার পরিস্থিতি তৈরি না হয় তার জন্য রাজ্য প্রশাসন কি পদক্ষেপ নিচ্ছে সেই নিয়ে কোন কথা শোনা গেলো না মুখ্যমন্ত্রী মুখে।

তার দলই আজ ধর্মীয় উন্মাদনা তৈরি করতে নেমেছে রাস্তায়।

সিপিআই(এম)’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য দমদম লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘মমতা ব্যানার্জি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর এবং এরাজ্যে বিজেপিকে টেনে আনার পর এই বিভাজনের রাজনীতি শুরু হয়েছে। এই বিভাজনের রাজনীতি বাংলার মানুষের জন্য বিপদজনক, তারা এই রাজনীতি মেনে নেবেন না। উৎসব পালনের অধিকার সকলের আছে। কিন্তু এখন উৎসব তৈরি করা হচ্ছে যার লক্ষ বিভাজন তৈরি করা।’’

রাম নবমী একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান। সেই ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে পুরোপুরি সাম্প্রদায়িক কর্মসূচিতে পরিনত করেছে বিজেপি এবং আরএসএস। গোটা দেশে এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে একাধিক সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা ঘটেছে। 

পশ্চিমবঙ্গে রাম নবমীকে কেন্দ্র করে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার আগে কোনদিন রাম নবমী নিয়ে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরি হয়নি।  

 

Comments :0

Login to leave a comment