শিন্ডে গোষ্ঠীর সঙ্গে দ্বন্দ্বে প্রমাণ হয়েছে মাটিতে জোর শিবসেনার উদ্ধব গোষ্ঠীরও। শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে উদ্ধব থ্যাকারের অনুগামী সাংসদ সঞ্জয় রাউত এমনই দাবি করেছেন।
শিবসেনার প্রতিষ্ঠাতা বাল ঠাকরের স্মারক স্তম্ভের সামনে বৃহস্পতিবার রাত্রে দ্বন্দ্বে জড়ায় শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে এবং একনাথ শিন্ডে শিবিরের শিব সৈনিকরা। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করেন উদ্ধবপন্থী শিবসেনার অন্যতম শীর্ষনেতা সঞ্জয় রাউত।
রাউত বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে সাধারণ শিবসৈনিকরা নিজেদের তেজ দেখিয়েছেন। তাঁরা ট্রেলার দেখিয়েছেন। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে আসল ছবি দেখা যাবে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাত্রে মুম্বইয়ের শিবাজী পার্কে বাল থ্যাকারের স্মারকে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলেন শিন্ডে শিবিরের নেতা কর্মীরা। তাঁদের তাড়া করতে দেখা যায় উদ্ধবপন্থী শিবসেনার নেতা কর্মীদের। উদ্ধব শিবিরের সামনে দাঁড়াতে পারেননি শিন্ডের অনুগামী শিবসেনার কর্মীরা।
এই ঘটনার রেশ টেনে সঞ্জয় রাউত বলেছেন, ‘‘শিবাজী পার্কে শিবসেনা কর্মীদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকদের সংঘাত হয়েছে।’’
তিনি একনাথ শিন্ডেকে বিভীষণ বলে আক্রমণও করেন।
২০২২ সালে শিবসেনার মধ্যে ভাঙন ধরায় বিজেপি। শিবসেনা বিধায়কদের একটা অংশকে ভাঙিয়ে নিয়ে উদ্ধব থ্যাকারের নেতৃত্বাধীন মহাবিকাশ আঘাড়ি সরকারের পতন ঘটায় দেবেন্দ্র ফডনবিশরা। বিদ্রোহী সেনা বিধায়কদের নেতা একনাথ শিন্ডেকে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসিয়ে এই মুহূর্তে মহারাষ্ট্র চালাচ্ছে বিজেপি।
এই ঘটনার পরে দফায় দফায় সংঘাতে জড়িয়েছে দুইপক্ষ। শিন্ডেকে সামনে রেখে গোটা শিবসেনার দখল নিতে চেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু উদ্ধব, সঞ্জয়দের তৎপরতায় বিজেপি সফল হয়নি। ক্রমে কোণঠাসা হয়েছেন শিন্ডে নিজেও। সঞ্জয় রাউত নিজে একাধিকবার দাবি করেছেন, শিন্ডের সঙ্গে যাওয়া শিবসেনা বিধায়কদের বড় অংশ মূল দলে ফিরে আসতে চাইছে। রাউতের অভিযোগ ছিল, ইডি’র কেন্দ্রীয় সংস্থাকে ব্যবহার করে দল ভেঙেছে বিজেপি।
২০২২ সালে শিবসেনা, কংগ্রেস ও এনসিপি জোট সরকারের পতন ঘটলেও মহারাষ্ট্রের একাধিক স্থানীয় নির্বাচনে জয় পেয়েছে এই মহাবিকাশ আঘাড়ি জোট। সেই ঘটনাকে উল্লেখ করেই সঞ্জয় রাউত এদিন বলেছেন, ‘‘২০২৪’র নির্বাচনে বিজেপি এবং অন্য বেইমানদের হারানোর জন্য মুখিয়ে রয়েছেন রাজ্যের সাধারণ মানুষ।’’
যদিও বৃহস্পতিবারের সংঘর্ষের পরে শিন্ডে শিবিরের তরফে প্রেস বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, ‘‘আইন শৃঙ্খলা সমস্যা এড়াতে বাল ঠাকরের ১১তম প্রয়াণ দিবসের একদিন আগে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়েছিলাম আমরা। সেখানে ইচ্ছাকৃত ভাবে প্ররোচনা সৃষ্টি করা হয়েছে।’’
Comments :0