বেলা সাড়ে দশটাতেও খোলা যাচ্ছে না রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট। নির্বাচনের ফলাফল জানতে কমিশনের ওয়েবসাইট বড় ভরসা। কিন্তু মঙ্গলবার, পঞ্চায়েত ভোটের ফল গণনার দিন সকাল থেকে অচল কমিশনের সাইট।
গণনার দিনও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে বিরোধী প্রার্থী এবং গণনা এজেন্টদের মারধর, ঢুকতে বাধা দেওয়ার ভুরি ভুরি অভিযোগ উঠছে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর, ডায়মন্ড হারবারে এজেন্টদের বাধা, মারধরের অভিযোগ জানিয়ে কমিশনে চিঠি পাঠিয়েছে। ব্যালট লুট বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে এদিনই সকাল থেকে দুবার চিঠি পাঠিয়েছেন সিপিআই(এম) জেলা সম্পাদক শমীক লাহিড়ী। পুলিশ আবার বিরোধী এজেন্টদের লাঠি চালাচ্ছে। কেশপুরে গণনা কেন্দ্র থেকে তাদের কাউন্টিং এজেন্টকে গ্রেপ্তারের অভিযোগ জানিয়েছে কংগ্রেস।
প্রশ্ন উঠছে, কমিশন আদৌ জেগে আছে কিনা। তার ওপর ওয়োবসাইটে গোলযোগ ঘিরে সন্দেহ, বিষয়টি কেবলই যান্ত্রিক গোলযোগ নাও হতে পারে।
ননোনয়ন পর্ব থেকে কমিশনের সরাসরি শাসকদলের অনুগামী থাকার আচরণেই উঠছে এমন প্রশ্ন। ভোটের দিনও, নিয়মমাফিক প্রতি ঘন্টায় ভোটদানের হার দেয়নি কমিশন।
সবচেয়ে নজরে পড়েছে স্ট্রং রুম আগলাতে কমিশনের ব্যর্থতা। ব্যালট বাক্সের সিল খোলা থেকে তৃণমূলের দপ্তরে পাঠিয়ে জাল ব্যালট ঢোকানোর ভিডিও ছড়িয়েছে। অভিযোগ জোরালো, ভোট লুটে তৃণমূল, পুলিশের সঙ্গে জড়িত কমিশনও।
এই আবহে ওয়েবসাইটের গোলযোগ কমিশনের আরেকটি ব্যর্থতা হিসেবে দেখছে বহু অংশ। কারণ ইমেলে অভিযোগে পাঠালেও ব্যবস্থা না নেওয়ার অজুহাত হতে পারে সকালের দীর্ঘ সময় ধরে অচল ওয়েবসাইট।
Comments :0