Worker protest

বন্ধ মিল, নেই আলো-জল,
রাস্তায় বিক্ষোভে গোন্দলপাড়ার শ্রমিকরা

রাজ্য জেলা

বন্ধ হুগলির গোন্দলপাড়া জুটমিল খোলার দাবিতে রাস্তায় নামলেন শ্রমিকরা। দীর্ঘ ১৫ মাস বন্ধ হয়ে রয়েছে মিল। এর আগে ৯ বার বন্ধ হয়েছে মিল। চিকিৎসার অভাবে এবং আত্মহত্যা করে মারা গেছেন চল্লিশেরও বেশি শ্রমিক। 
মঙ্গলবার মিল খোলার দাবিতে আবারও পথে নামলো গঙ্গা পাড়ের মিলের শ্রমিকরা। চন্দননগরে সংযুক্ত নাগরিক কমিটির ডাকে চন্দননগর মহকুমা শাসক অয়ন দত্তগুপ্ত এবং যুগ্ম শ্রম কমিশনার কল্লোল চক্রবর্তীর কাছে পাঁচ জনের প্রতিনিধি দল ডেপুটেশন দেন। প্রতিনিধি দলে ছিলেন বিশ্বনাথ ব্যানার্জি, শঙ্কর চক্রবর্তী, রাজেশ জয়সোয়াল, মহান্তি ও রতন ব্যানার্জি। ডেপুটেশন চলাকালীন এসডিও অফিসের সামনে বিক্ষোভ সভা চলে।


এদিন সকালে মিলের গেট থেকে চন্দননগর এসডিও পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করেন শ্রমিকরা। এসডিও অফিসের সামনে মিছিল আসার আগেই পুলিশ মিছিল আটকে দেয়। মিলের শ্রমিকরা জানান তাদের একটাই দাবি, মিল খুলতে হবে। মিল চালু না হলে পরিবার নিয়ে অনাহারে কাটাতে হবে। শ্রমিক মহল্লাতে ২৪ ঘন্টা আলো ও জল সরবরাহ করতে হবে এবং কোন ভাবে আলো বা জল বন্ধ করা যাবে না। 
গোন্দলপাড়া জুটমিলের মালিক যে ভাবে আলো-জল কেটেছে তার জন্য তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। শ্রমিকদের দাবি না মেটা পর্যন্ত কারখানার মালিকানা বা কারখানার সম্পত্তি হস্তান্তর করা যাবে না।


শ্রমিক নেতা ও চন্দননগরের প্রাক্তন বিধায়ক রতন ব্যানার্জি বলেন, অবিলম্বে গোন্দলপাড়া জুটমিল খুলতে হবে। কারখানা বন্ধ থাকাকালীন অবস্থায় বকেয়া সরকারি ভাতা শ্রমিকদের দিতে হবে। অবিলম্বে অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিকদের বকেয়া গ্র্যাচুইটি টাকা দিতে হবে। তাঁদের পেনশনের ব্যবস্থা করতে হবে। মিলে বন্ধ আলো ও জল পরিষেবা। সেই পরিষেবাও চালু করতে হবে। 
 

ছবি:- গোন্দলপাড়া জুটমিলের শ্রমিকদের মিছিল আটকালো  পুলিশ। ছবি অভীক ঘোষ।

Comments :0

Login to leave a comment