GAZA SCHOOL BOMBING

গাজার স্কুলে বোমা ফেলল ইজরায়েল, শিশু সহ নিহত অন্তত ৫০

আন্তর্জাতিক

আমেরিকায় জানিয়ে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু- আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে ইজরায়েলের। আত্মরক্ষার নমুনা ফের দেখালো ইজরায়েল। বিমান থেকে বোমা ফেলে গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো স্কুল। নিহত অন্তত ৫০, তাদের মধ্যে রয়েছে শিশুরাও।
প্যালেস্তাইনের গাজায় লাগাতার হামলায় আস্ত নেই প্রায় কোনও ঘর। একটি গোটা ভূখণ্ডের মানুষ আশ্রয় নিয়ে রয়েছেন বিভিন্ন শিবিরে। তারই একটি এই স্কুল, হাজার মধ্যভাগে দের-আল-বালায়। 
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে আল আকসা হাসপাতালে রয়েছে নিহত ৬ শিশুর দেহ। রয়েছে ৭ মহিলার দেহও। ধ্বংসস্তূপ সরালে এমন আরও বহু দেহ মিলবে। কিছুদিন আগেই ফুটবল মাঠেও ক্ষেপণাস্র্া হামলা চালিয়েছিল ইজরায়েলের সেনা। 
গাজার অসামরিক নিরাপত্তা রক্ষীরা জানিয়েছেন, এই শিশুদের সঙ্গে বহু নিরীহ নিরাশ্রয় বাসিন্দা ঠাঁই নিয়েছিলেন এই শিবিরে। গোটাটাই এখন ধ্বংসস্তূপ। 
এমন নির্ম হামলার পরও নির্বিকার ইজরায়েল। সেনা বলেছে, ‘‘এই এলাকায় বিপুল অস্ত্র মজুত করে রেখেছে হামাস। তার ওপরই হামলা চালানো হয়েছিল।’’
গাজার বাসিন্দাদের সঙ্গে বিশ্বের বিপুল অংশ বলছে, বারবারই এমন অস্ত্রভাণ্ডারের নামে হামলা চালানো হচ্ছে সাধারণ বাসিন্দাদের বসত এলাকায়। কোনওবারই অস্ত্রভাণ্ডার বের হচ্ছে না। বের হচ্ছে অসংখ্যা শিশুদের দেহ, নিরপরাধ মানুষের লাশ। 
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, স্কুলের ভেতরে দেওয়াল ভেঙে পড়েছে। ক্লাসরুম তছনছ হয়ে গিয়েছে। শিশুদের কম্বলে মুড়ে বের করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য ছুটছেন মানুষ। অ্যাম্বুল্যান্সও পাওয়া যাচ্ছে না। 
রবিবার ইতালিতে ইজরায়েল, মিশর, কাতার এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বৈঠক হওয়ার কথা। বিষয় তার যুদ্ধবিরতি। ইজরায়েল যদিও জানিয়েই দিয়েছে যুদ্ধবিরতিতে আগ্রহী নয়। এই ইজরায়েলকেই সামরিক এবং আর্থিক মদত দিয়ে চলেছে আমেরিকা। এই বৈঠকে থাকবেন আবার আমেরিকার কুখ্যাত গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র ডিরেক্টর বিল বার্নস। 
প্যালেস্তিনীয় অথরিটির রাষ্র্যপতি মাহমুদ আব্বাসের মুখপাত্র হামলার নিন্দা করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘মার্কিন যুক্তরাষ্রেন্ মাটিতে নেতানিয়াহুকে অভ্যর্থনা জানানো হয়েছে। এমন বিধ্বংসী হামলা চালিয়ে যাওয়ার সবুজ সংকেত মিলেছে। প্রত্যেকবার হামলার পর এমন কোনও কোনও দেশ মুখে কিছু নিন্দা করে। কিন্তু ইজরায়েলের সেনার বিরুদ্ধে এমন কোনও ব্যবস্থা হয় না। যাতে এই জঘন্য দখলদারি বন্ধ করা যায়। 
ইজরায়েলের সেনা খান ইউনিসে হামলা চালাচ্ছে। পুরো এলাকা ছেড়ে সরে যেতে বলা হয়েছে বাসিন্দাদের। প্রশ্ন হচ্ছে তাঁরা যাবেন কোথায়। এমন ঘোষণার পর অন্য জায়গায় উদ্বাস্তু শিবিরে বোমা ফেলেছে ইজরায়েল। এমনকি ত্রাণের জন্য খাবারের সারিতে দাঁড়ানো নাগরিকদের ওপর চলেছে গুলিবর্ষণ।

Comments :0

Login to leave a comment