সংশোধিত ওয়াকফ আইন মামলায় সংবিধান লঙ্ঘনের সম্ভাবনা নির্দিষ্ট করতে বলল শীর্ষ আদালত। এদিকে, আইনে স্থগিতাদেশের পক্ষে সওয়ালে বলা হয়েছে ওয়াকফের জমি দখলের উদ্দেশ্যে পাশ হয়েছে এই আইন।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে ফের শুনানি হয়েছে সংশোধিত ওয়াকফ আইনের। প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি এগি মসিহের এজলাসে শুরু হয় শুনানি।
এর আগে সুপ্রিম কোর্ট সংশোধিত আইনের তিনটি সংস্থান সম্পর্কে প্রশ্ন তোলে। এক, ব্যবহারের ধরন অনুযায়ী ওয়াকফ সম্পত্তি চিহ্নিত হওয়ার ক্ষেত্রে আইনের বক্তব্য। দুই, ওয়াকফ কাউন্সিল এবং রাজ্য ওয়াকফ পর্ষদে অ-মুসলিমদের সদস্য করা। তিন, ওয়াকফ হিসেবে চিহ্নিত সম্পত্তিকে সরকারি জমি হিসেবে চিহ্নিত করণের প্রক্রিয়া।
এই প্রশ্নে কেন্দ্রের পক্ষে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা আদালতকে আশ্বাস দেন এই তিনটি সংস্থান আপাতত কার্যকর করবে না কেন্দ্র। এদিন মেহতা আদালতে আবেদন জানান যে এই তিনটি বিষয়েই শুনানি সীমাবদ্ধ রাখা উচিত। তার বিরোধিতা করেন আবেদনকারী বিভিন্ন পক্ষের আইনজীবীদের অন্যতম কপিল সিবাল।
সিবাল বলেন, আইনের উদ্দেশ্য হলো ওয়াকফের জন্য চিহ্নিত জমি সরকারের নামে দখল করা। বিচারবিভাগকে এড়িয়ে এই প্রক্রিয়া চালানোর সংস্থান করা হয়েছে আইনে।
সিবাল বলেন, কেউ মৃত্যুশয্যা থেকে তাঁর সম্পত্তির অংশ ওয়াকফ করতে চাইলে, সংশোধিত আইনে, তাঁকে প্রমাণ করতে হবে যে শেষ পাঁচ বছর তিনি ইসলাম ধর্ম পালন করেছেন। এই সংস্থান সংবিধান বিরোধী।’’
এরপরই প্রধান বিচারপতি গাভাই বলেন যে সংসদে পাশ আইনটি সংবিধান সম্মত কিনা তা নিয়ে সংশয় জানানো হয়েছে। কেবল সংশয়ের ভিত্তিতে সংসদে পাশ আইনের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করা যায় না। নির্দিষ্ট ঘটনার উল্লেখ করা উচিত।
উল্লেখ্য, সংশোধিত ওয়াকফ আইন পাশ হয়েছে গত মাসেই। বিভিন্ন অংশই তার বিরোধিতা করেছে। সংসদে সংশ্লিষ্ট বিল পর্যালোচনার কমিটি তৈরি হলেও বিরোধীদের সংশোধনী রিপোর্টে জায়গা পায়নি। একতরফা বিল পাশের এই কৌশলেরও প্রতিবাদ জানান বিরোধীরা। সিপিআই(এম)’র পক্ষে পলিট ব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিমের নামে এই আইনের বিপক্ষে আবেদন জানানো হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এমন বিভিন্ন অংশ থেকেই জমা পড়েছে আবেদন। একগুচ্ছ আবেদনের বিচারপ্রক্রিয়া চলছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে।
Waqf Supreme Court
ওয়াকফ জমি দখলে সংশোধিত আইন, সওয়াল সুপ্রিম কোর্টে

×
Comments :0