Elgar Case

দু’বছর পরে তেলতুম্বডেকে জামিন

জাতীয়

Elgar Case

এলগার পরিষদ-মাওবাদী যোগ মামলায় ধৃত শিক্ষাবিদ আনন্দ তেলতুম্বডেকে জামিন দিল বোম্বে হাইকোর্ট। শুক্রবার বিচারপতি এএস গড়করি এবং বিচারপতি এমএন যাদবের ডিভিসন বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে। তবে জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ)’র আরজি মেনে বিচারপতিরা এই রায়ের ওপর এক সপ্তাহের স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে এনআইএ যাতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করতে পারে, তার সুযোগ দিতেই এই স্থগিতাদেশ। অর্থাৎ এক সপ্তাহের আগে তেলতুম্বডের জামিনে মুক্তি পাওয়ার কোনও সুযোগই রইল না। 
এদিন ভীমা কোরেগাঁও মামলায় গৌতম নওলখাকে গৃহে অন্তরীণ রাখার আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিল এনআইএ। শুক্রবার সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত। এনআইএ‘র সওয়ালের সম্পর্কে যথেষ্ট বিরক্তিও প্রকাশ করেন দুই বিচারপতি কে এম যোশেফ ও হৃষিকেশ রায়। বিচারপতিরা বলেন, একজন ৭০ বছরের অসুস্থ ব্যক্তিকে গৃহে অন্তরীণ রাখার মতো নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই রাষ্ট্রের? সেই রাষ্ট্র দেশকে কী নিরাপত্তা দেবে? আপনারা না পারলে আমরা করব। এনআইএ’র হয়ে সওয়ালে সলিসিটর জেনারেল ও অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এমনকি এই যুক্তিও দেখান, নওলাখা থাকার জন্য যে বাড়ি বেছেছেন সেটি সিপিআই দলের সাধারণ গ্রন্থাগার। বিচারপতিরা বলেন, তাতে কী হয়েছে? সিপিআই একটি স্বীকৃত রাজনৈতিক দল। সরকারী আইনজীবীরা বলেন, এই ঘটনায় বিচারপতিরা স্তম্ভিত হচ্ছেন না? বিচারপতিরা বলেন, না, হচ্ছি না। নওলাখার আইনজীবী রামকৃষ্ণন বলেন, সিপিআই নিজেরাই মাওবাদীদের বিরুদ্ধে। সমসাময়িক রাজনীতি সম্পর্কে ন্যূনতম ধারণা থাকলে এই যুক্তি কেউ দেখায় না। সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে ২৪ ঘন্টার মধ্যে নওলাখাকে জেল থেকে ছেড়ে দিয়ে তাঁর পছন্দের বাড়িতে থাকতে দিতে হবে। 
তেলতুম্বডেকে জামিনের যুক্তি দিতে গিয়ে বিচারপতিরা এদিন বলেন, ধৃতের বিরুদ্ধে শুধুমাত্র সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখা ও সাহায্য করার অভিযোগ এনেছে তদন্ত সংস্থা। এই অভিযোগে সর্বোচ্চ শাস্তি দশ বছরের জেল। অভিযুক্ত ইতিমধ্যেই দু’বছরের বেশি কারান্তরালে কাটিয়ে দিয়েছেন। 


বিশেষ আদালতে তেলতুম্বডের জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ার পরে গত বছর হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। এদিন এজলাসে তাঁর কৌঁসুলি মিহির দেশাই বলেন, ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর পুনে শহরে এলগার পরিষদের অনুষ্ঠানে তেলতুম্বডে হাজির ছিলেন না। ফলে সেখানে তিনি কোনও প্ররোচনামূলক বক্তব্যও রাখেননি। এনআইএ’র কৌঁসুলি জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করে পালটা বলেন, পুনের কাছে ভীমা কোরেগাঁও গ্রামে হাঙ্গামার ঘটনায় বেআইনি মাওবাদী গোষ্ঠীর ইন্ধন ছিল। 

 

তেলতুম্বডের ভাই মিলিন্দ মাওবাদী নেতা ছিলেন। এই শিক্ষাবিদ ভাইয়ের সঙ্গে গোপনে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন। উল্লেখ্য, গত নভেম্বরে মহারাষ্ট্রের গড়চিরোলি জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সঙ্ঘর্ষে নিহত হন মিলিন্দ তেলতুম্বডে। উভয় পক্ষের সওয়াল শুনে প্রবীণ শিক্ষাবিদের জামিন মঞ্জুর করে ডিভিসন বেঞ্চ।

Comments :0

Login to leave a comment