সোমবার সন্ধ্যায় দিল্লির বুরারিতে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল সম্প্রতি নির্মিত চারতলা একাটি বাড়ি। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে দুই জনের। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিল্লির বুরারির কাছে 'কৌশিক এনক্লেভ'-এ। এখনও পর্যন্ত ঘটনাস্থল থেকে ১২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত বেশ কয়েকজন ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দিল্লি পুলিশ, দমকল, ডিডিএমএ এবং এনডিআরএফ কর্মীরা এখনও উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছেন। ঘটনার সময় ভবনটিতে প্রায় দশ থেকে পনেরো জন শ্রমিক এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই স্থানীয় লোকজন ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া চারজনকে উদ্ধার করে। তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যেখানে তাদের চিকিৎসা চলছে। উদ্ধারকারীদের সঙ্গে স্থানীয় লোকজনও উদ্ধারকাজ কাজ চালাচ্ছেন। গভীর রাতে ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও ছয়জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দুই জনৃর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে এখনও আরও অনেক মানুষ আটকা পড়ে আছেন বলে দমকল সূত্রে খবর। দমকলের আশঙ্কা ওই বাড়ির ধংসস্তূপের মধ্যে এখনও অনেকে আটকে রয়েখছেন। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে। দিল্লি দমকল বিভাগের পরিচালক অতুল গর্গ বলেন, ঘটনাটি ঘটেছে সন্ধ্যা সাড় ৬ টা নাগাদ। সন্ধ্যা ৬ টা ৫৮ মিনিট নাগাদ পুলিশ ঘটনাটি সম্পর্কে একটি ফোন পায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকলের নয়টি বাহিনী। উদ্ধার কাজ শুরু করা হয়। দিল্লি সিভিল ডিফেন্স এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরাও ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন। 
ডেপুটি পুলিশ কমিশনার রাজা বান্থিয়া জানিয়েছেন, সোমবার সন্ধ্যা ৬.৩০ নাগাদ পুলিশ বুরারির কৌশিক এনক্লেভে একটি চারতলা নির্মাণাধীন ভবন ধসের খবর পায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছানো পুলিশকে স্থানীয় লোকজন জানায় যে দুইশ গজের মধ্যে একটি ভবনের নির্মাণ কাজ চলছে। ঘটনার সময় প্রায় দশ থেকে পনেরো জন শ্রমিক কাজ করছিলেন। শ্রমিকদের পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে দমকল বিভাগ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, পৌর কর্পোরেশন এবং অন্যান্য উদ্ধারকারী দলকে ঘটনাটি সম্পর্কে জানায়। তবে স্থানীয় লোকজন তাৎক্ষণিকভাবে চারজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। পুলিশ আধিকারিক জানান, উদ্ধার অভিযান এখনও চলছে। পুলিশ, দমকল বাহিনী, ডিডিএমএ এবং এনডিআরএফ দল উদ্ধার কাজ চালিয়েযাচ্ছেন। এখন পর্যন্ত ১২ জনকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়া মানুষদের সরিয়ে নেওয়ার কাজ অব্যাহত রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা রাম নিবাস জানান, ভবনের খালি জমিতে শ্রমিকরা তাদের বসবাসের জন্য চারটি ঘর তৈরি করে থাকছিলেন। ভবনের ধ্বংসাবশেষ বস্তির উপরও পড়েছে। এখানে কতজন লোক উপস্থিত ছিল তা এখনও জানা যায়নি। পুলিশ ঠিকাদার এবং বাড়িওয়ালাকে খুঁজছে যাতে এখানে আটকে থাকা শ্রমিকের সংখ্যা সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়।
ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আতিশী। তিনি তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন,‘‘ বুরারিতে ভবন ধসের এই ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। দ্রুত ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযান নিশ্চিত করার জন্য আমি স্থানীয় প্রশাসনের সাথে কথা বলেছি। ক্ষতিগ্রস্তদের সবরকম সহায়তা প্রদান করা হবে।’’