T20 World Cup 2024

টি-২০ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ভারত

খেলা

 

কেনসিংটন ওভালের রোমাঞ্চকর ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭ রানে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ী ভারত। প্রথমে ব্যাট করে ভারত করে ৭ উইকেটে ১৭৬ রান। জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস শেষ হয় ৮ উইকেটে ১৬৯ রানে।

বিশ্বকাপের ফাইনালে ১৭৬ রান সর্বোচ্চ। যদিও প্রথমে দক্ষিণ আফ্ৰিকার দুটি উইকেট ভারত তুলে নেয় , কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকা সামান্য ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছিল। স্টাবস আর ডি কক জুটি গড়লেও নিয়মিত উইকেট পড়তে থাকে। শেষ অবধি অসাধারণ লড়াই চালিয়েছিলেন ক্লাসেন। যদিও বহু সমালোচিত হার্দিক পান্ডা জয় এনে দিল ভারতকে। এর সঙ্গে  বলতেই হবে সূর্যকুমার যাদবের কথা।  অসাধারণ ওই ক্যাচটি খেলার গতি সম্পূর্ণ ঘুরিয়ে দেয়। 

রাহুল দ্রাবিড় এই ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জ থেকে খালি হাতে ফিরে ছিলেন অনেক সমালোচনা মাথায় নিয়ে সেই ২০০৭ সালে। আর সেই বছরেই প্রথমবার টি ২০ বিশ্বকাপ জয় করে ধোনির ভারত।  ১৭ বছর পরে সেই ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জ থেকে ফিরল দ্রাবিড়ের ভারত।  আর একবার টি ২০ বিশ্বকাপ জিতে।   

সিরাজ বললেন ‘আমি জানতাম জস্সি ভাই খেলার মোড়  ঘোরাবেন। তাই ঘটল। আগের বার ফাইনালে হেরেছিলাম। এবার জিতে ফিরছি, একজন পেশাদার ক্রিকেটারের কাছে বিশ্বকাপ জয় অনেক বড় ব্যাপার।’  

হার্দিক অসম্ভব আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন।  বললেন , ‘এই জয়ের অর্থ অনেক বড়। সারা দেশ আজকে জয় চাইছিল। আমার কাছে আরও  বড় ব্যাপার, বিশেষ করে যেভাবে শেষ ছয় মাস আমার কেটেছে। তিনি সব কৃতিত্ব দিলেন বুমরাহকে। শেষ জড়িয়ে ধরলেন রোহিত শর্মাকে।’    

অক্ষর প্যাটেল বললেন, ‘আমার কাছে এই জয়ের অর্থ অনেক বেশি। আমি বেশকয়েক বছর ধরে চোট  আঘাতের জন্য খেলতে পারছিলাম না ভাল করে। আমি কিছু করতে চাইছিলাম। আমি খুবই গর্বিত। এই ম্যাচটা আর একটা ম্যাচের মত দেখেছিলাম। রাহুল ভাই খেলা উপভোগ করতে বলেছিল। সেটা কাজ করেছে।’ 

প্রতিযোগিতার সেরা বুমরাহ বললেন, ‘আমি সাধারণত আবেগ দেখাই না। যদিও আজ কথা বলতে পারছিল না। আবেগ সব কিছুকে ছাপিয়ে গেছে। আমার পরিবার এখানেই আছে। তাদের সামনে কিছু একটা করার দরকার ছিল।  গোটা প্রতিযোগিতায় আমার একটাই লক্ষ্য ছিল বড় ম্যাচে কিছু করার। সেটা হয়েছে।’

ভারতের ব্যাটিং শেষ হওয়ার পর কেশব মহারাজ বলেছিলেন  ‘আমি হাওয়া এবং পিচকে ব্যবহার করে সফল হয়েছি।পিচ একটু স্লো। তবে আশা করি পরে ভাল হয়ে যাবে। আমাদের ক্যাচিং ও ফিল্ডিং বেশ ভাল হয়েছে।  এটা এমনই একটা বিষয় জানিয়ে আমরা গর্ব করতেই পারি। এ সুযোগ সবসময় পায় যায় না। আশা করা যায় আমরা দুহাত ভরে সেটা গ্রহণ করবো।’  

সেই গ্রহণ করা আর হল না। তার বদলে ৩২ বছর ধরে চায়ের কাপে চুমুক আর ঠোঁটের মধ্যে ব্যবধান শেষ পর্যন্ত রয়েই গেল। 

Comments :0

Login to leave a comment