Snowfall in East Sikkim

সিকিমে প্রবল তুষারপাত, আটক রাজ্যের বেশ কিছু পর্যটক

জাতীয় রাজ্য

মরশুমের এই সময়ে সিকিমে প্রবল তুষারপাত ঘটেছে। সিকিমের ছাঙ্গু, নাথুলায় বরফের মোটা চাদরে ঢেকে গেছে। নর্থ সিকিমে প্রবেশ পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সিকিমে এই রাজ্যের বেশ কিছু পর্যটক আটকে রয়েছেন। সিকিমের বিভিন্ন প্রান্তরে তাঁরা রয়েছেন। জানা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবার পর্যটকদের প্রায় ১৫০টি গাড়ি আটকে পড়েছে। প্রচুর পর্যটকদের ইতোমধ্যেই উদ্ধার করে সেনা ছাউনিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। উদ্ধারের পরে সেখানেই আশ্রয় দেওয়া হয়েছে তুষারপাতের কারণে আটক পড়া পর্যটকদের। তুষারপাতের কারণে সড়ক যোগাযোগ একরকম বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। প্রতিবেশী রাজ্য গোটা সিকিম জুড়ে ব্যাপক তুষারপাত হচ্ছে। বিশেষ করে নর্থ সিকিমে প্রবল তুষারপাত ঘটেছে। গত পরশু থেকেই প্রবল তুষারপাত শুরু হয়েছে নর্থ ও ইস্ট সিকিম জুড়ে। তাপমাত্রাও একলাফে অনেকটাই নেমে গিয়ে প্রায় শূন্যের নীচে নেমে যায়। নাথুলা সাদা বরফের আস্তরনে মুড়ে যায়। তুষারপাতের জেরে গোটা রাস্তা ঢেকে গেছে বরফের পুরু চাদরে। চারিদিকে শুধু সাদা আর সাদা। স্বাভাবিকভাবেই যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। 


ঝুঁকিপূর্ণ যান চলাচল এড়াতে সিকিম প্রশাসন নর্থ সিকিমের পেলিং, লাচুঙ, লাচেন, ইয়াংথামের রাস্তা বনধ করে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে ছাঙ্গু লেক, ইন্দো চায়না সীমান্ত, নাথুলা বর্ডার পর্যন্ত পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ হয়েছে। ইতোমধ্যে সেখানে বর্ডার রোড অর্গানাইজেশনের জওয়ানরা উদ্ধার ও তুষার সরানোর কাজে হাত লাগিয়েছেন। বুধবারই পূর্ব সিকিমে আকস্মিক তুষারপাতে প্রায় ১৭৫টি পর্যটকদের গাড়ি আটকে পড়েছিলো। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আটকে পড়া প্রায় পাঁচ শতাধিক পর্যটকদের উদ্ধার করা হয় ত্রিশক্তি কোর ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে। শ্বাসকষ্ট, বমি, মাথা ঘোরানো সহ নানা উপসর্গ দেখা দেওয়ায় আটকে পড়া পর্যটকদের অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। উদ্ধারের পর তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা, গরম খাবার ও পানীয় দেবার পরে অসুস্থ পর্যটকেরা অনেকটাই সুস্থতা বোধ করেন। তুষার সরিয়ে দিয়ে রাস্তা পরিষ্কারের পরেই পর্যটকদের গ্যাঙটকে নামিয়ে আনা হবে।  


সিকিমে তুষারপাতের প্রভাবে বৃহস্পতিবার পাহাড় সমতল সর্বত্রই আকাশের মুখ ভার ছিলো। শিলিগুড়ি সহ আশপাশের কিছু এলাকায় খুব সকাল থেকেই আকাশ কালো মেঘে ঢাকা ছিলো। ঘন কুয়াশায় আবৃত ছিলো চারিদিক। কুয়াশার দাপট কমতেই শিলিগুড়ি ও সংলগ্ন এলাকায় এক দুই পসলা হালকা বৃষ্টি শুরু হয়। সারাদিন ঠান্ডা বাতাস বইছিলো। দার্জিলিঙ পাহাড় ও কালিম্পঙেও বৃষ্টি হবার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতিবেশী রাজ্য সিকিমে শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে এদিনও নর্থও ইস্ট সিকিমে ভারি তুষারপাত হবার সম্ভাবনা রয়েছে এমনটাই জানা যাচ্ছে আবহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে।

 

Comments :0

Login to leave a comment