‘‘ভিডি সাভারকর ক্ষমাভিক্ষা চেয়েছিলেন ব্রিটিশের কাছে। সরকারি নথিই তাই বলছে।’’ নিজের বক্তব্যে অনড় থেকে বৃহস্পতিবার একথা বলেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ চলার মাঝে এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করেন রাহুল। ব্রিটিশরাজকে দেওয়া সাভারকরের চিঠির প্রতিলিপি তুলেও দেখিয়েছেন তিনি।
আন্দামান জেলে থেকে মুক্তি পেতে সাভারকরের ক্ষমাভিক্ষার এই নথি আদৌ নতুন নয়। কিন্তু প্রসঙ্গটি উঠলেই তেড়ে আসে বিজেপি। গত মঙ্গলবার বিরসা মুণ্ডার জন্মবার্ষিকীতে নতুন করে এই প্রসঙ্গ টানেন রাহুল। তিনি বলেছিলেন, ‘‘ব্রিটিশ রাজের কাছে ক্ষমাভিক্ষা চেয়েছিলেন যে সাভারকর, তিনিই বিজেপি’র আরাধ্য।’’
রাহুলের মন্তব্যে মহারাষ্ট্রের বিজেপি নেতা এবং উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ সমালোচনায় নামেন। কংগ্রেসের জোটসঙ্গী হলেও শিবেসনার নিজের অংশের নেতা উদ্ধ থ্যাকারে বলেন যে দল রাহুলের এই বক্তব্য অনুমোদন করছে না।
এদিন বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে সাংবাদিক সম্মেলনে সাভারকরের চিঠির শেষ অংশ পড়ে শোনান রাহুল। যেখানে ব্রিটিশরাজকে বলা রয়েছে, ‘আমি আপনাদের একান্ত অনুগত ভৃত্য হয়ে থাকতে ইচ্ছুক।’ রাহুল বলেন, ‘‘সাভারকর ব্রিটিশদের সহায়তা করেছিলেন। তিনি ব্রিটিশরাজকে ভয় পেয়েছিলেন।’’
জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর হিন্দুত্ববাদী সাম্প্রদায়িক দর্শনকে ব্রিটিশ ভারতে প্রচার করেন সাভারকর। মহাত্মা গান্ধী হত্যাতেও অভিযুক্ত ছিলেন তিনি। আদালতে যদিও নাথুরাম গডসেকে চিনতে অস্বীকার করেন। বিভিন্ন অংশেরই বক্তব্য, ইতিহাসকে তথ্যের নিরিখে তুলে ধরলেই যুক্তি ফেলে শাসানি দিতে নামে আরএসএস-বিজেপি। উগ্র হিন্দুত্ববাদী এই কৌশল নতুন নয়।
এক প্রশ্নে রাহুল বলেন, ‘‘ বিজেপি বিরোধীদের কমজোর বলে দেখানো হচ্ছে। কারণ বিজেপি’র হাতেই সাংবিধানিক সংস্থাগুলির নিয়ন্ত্রণ। প্রচারমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করছে বিজেপি, বিচারব্যবস্থাতেও প্রভাব খাটাচ্ছে। কিন্তু মাটিতে নেমে মানুষের সঙ্গে কথা বললে অন্য ছবি দেখা যাচ্ছে।’’
Comments :0